News update
  • Can Dhaka’s arms recovery drive ensure peaceful polls?     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Monday morning     |     
  • BD peacekeepers' deaths: UN chief calls Dr. Yunus, offers condolence     |     
  • Bangladesh Plans Rockets, Satellites, and Space Industrial Park     |     
  • India willing to work together inspired by shared sacrifices of past     |     

পাকা আম খাওয়ার আগে করণীয়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-05-29, 9:34pm

6067df465969811b082d4594e1cb40fcb70bccd363e2239e-726ce258bdf4982fe64cc8d7aaeef7421748532860.jpg




চলছে মধুমাস। পাকতে শুরু করেছে আম। বাজারে শোভা ছড়াচ্ছে এ হলুদ বর্ণের ফলটি। এখনই সময় মৌসুমী ফলটি খাওয়ার। কিন্তু কিনে আনা এ ফল সরাসরি খেলেই আপনি পড়তে পারেন বিপদে, তা কি জানেন।

পাকা আম ভিটামিন এ, সি, কে, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট এবং বিটা-ক্যারোটিনের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। একটি পাকা আমে থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। যা শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতে ও হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তাই যাদের রক্তস্বল্পতা সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও আম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। অন্যদিকে যাদের হাড়ের সমস্যা আছে তাদের জন্যও আম বেশ উপকারী একটি ফল।

নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ফল থেকে শতভাগ স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে কিন্তু কয়েকটি ধাপ মেনে চলতে হবে আপনাকে। কারণ পুষ্টিবিদরা বলছেন, বাজার থেকে কেনা আম কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে আপনার খাওয়া উচিত। এই ধাপ পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করলে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সুরক্ষিত রাখতে পারবেন পরিবারকেও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে ফলে ফরমালিন ও কার্বাইড রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে।

মূলত কাঁচা আমকে দ্রুত পাকাতে ব্যবসায়ীরা ফলে কার্বাইড মিশিয়ে থাকে। আর এ ফল যেন দ্রুত পচে না যায় তার জন্য ব্যবহার করেন ফরমালিন মিশ্রিত পানি।

যদি এ অবস্থায় আপনি বাজারে পাওয়া আম সামান্য ধুয়েই খেতে শুরু করেন তবে এ অভ্যাসে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে ক্যানসারের আশঙ্কাও।

করণীয়

তাই বাজারের পাকা আম কেনার পর ফলগুলো ভালো করে ধুয়ে বাতাসে পানি শুকিয়ে নিন। এরপর ফ্রিজে বা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এ ফল সংরক্ষণ করুন।

যখন ফল খাবেন বলে মনে করবেন তার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে সে ফলটি পানির কলের ধারায় ধরে রাখুন ১ মিনিটের মতো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানির এ স্রোতধারায় ফল ধুয়ে নিলে ৩০ শতাংশ ক্ষতিকর দিক মুক্ত করা সম্ভব। এরপর পাকা আমের বোঁটার অংশটি কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টার মতো।

এতে প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষতিকর প্রভাব মুক্ত হবে ফলটি। এ প্রক্রিয়ায় ফলটি যেমন রাসায়নিক মুক্ত হবে তেমনি কাটার সময় খোসা ছাড়ানোও সহজ হবে।

পাকা আমের বোঁটার অংশে যে কষ থাকে তা অসতর্কভাবে মুখে চলে গেলে তা ত্বকে ইনফেকশন ও অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

তাই বোঁটা কেটে পানিতে আধ ঘণ্টা পাকা আম ভিজিয়ে রাখার কারণে এ সমস্যার পুরোপুরি প্রতিকার সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সময়।