২৪৯ রানের লক্ষ্যকে খুব কঠিন বলা চলে না। শুরুতেই পাতুম নিশাঙ্কাকে আউট করে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। কিন্তু নিশান মাদুশকা ও কুশল মেন্ডিসের জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শ্রীলঙ্কা। মাদুশকাকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন তানভীর ইসলাম। এরপর একে একে আরও ৪ উইকেট শিকার করেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশিদের মধ্যে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে দলকে জিতিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
শনিবার (৫ জুলাই) শ্রীলঙ্কাকে ১৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ৪৯.৫ ওভারে ২৪৮ রানে অলআউট হয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কাকে গুড়িয়ে দিতে মাত্র ৩৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন তানভীর ইসলাম। মাত্রই দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশিদের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগারের মালিক বনে গেছেন এই বাঁহাতি। ভেঙেছেন আব্দুর রাজ্জাকের রেকর্ড। ২০১৩ সালে পাল্লেকেলেতে ৬২ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন রাজ্জাক।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন তানভীর। ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার নিতে এসে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে ধন্যবাদ দিয়েছেন এই বাঁহাতি, ‘ভালো লাগছে, ঠিক জায়গায় বল করেছি। আগের ম্যাচের চেয়ে আজ ভালো উইকেট ছিল। অধিনায়কের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যিনি ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন।’
বোলিংয়ের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি তানভীরের। প্রথম দুই ওভারে ২২ রান দেন। কিন্তু মিরাজ ভরসা রেখেছেন এই বাঁহাতির ওপর, ‘প্রথম দুই ওভারে যখন ২২ রান খাইছি, ক্যাপ্টেন আমার পাশে এসে বললো, তানভির, বোলাররাই মার খায়, তুই পারবি। আমি তোকে একটা বিশ্বাস দিলাম, তুই সর্বোচ্চ চেষ্টা কর। তোর ডিফেন্সিভ বোলিং এর কোনো প্রয়োজন নাই। তোর উইকেট টেকিং বোলিং করতে হবে। ক্যাপ্টেনের কথা মতো, ইনশাল্লাহ চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো কিছু হয়েছে।’
অধিনায়ক মিরাজ বাংলাদেশকে পাঁচ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়ে অবশেষে জয়ের মুখ দেখলেন। এর আগে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৭৭ রানে হেরেছিল টাইগাররা। ইতিবাচকতাই এই ম্যাচে জয় এনে দিয়েছে বলে তার বিশ্বাস। মিরাজ বলেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪০ রান করাটাও কঠিন। আমাদের বিশ্বাস ছিল ২৪৮ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারব। তারা খুব ভালো খেলছিল আর আমাদের তখন উইকেট দরকার ছিল। আমি তানভীরকে বলেছি আমাদের উইকেট দরকার, ইতিবাচক থাকে যেন। এ ছাড়া আমরা জিততে পারব না।’