লন্ডনে ৩ জনের একটি চিকিতসক দল তাসকিনের চিকিতসা করছেন। এদের মধ্যে একজন হাঁটুর সার্জন, একজন স্পোর্টস ফিজিশিয়ান এবং বাকি একজন স্পোর্টস ফিজিওথেরাপিস্ট। সেখানে তাসকিনের সঙ্গে বোর্ডের প্রতিনিধি আছেন বিসিবির চিকিতসক দেবাশিষ চৌধুরী।
গোড়ালির চোটের কারণে অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে আছেন তাসকিন। শুরুতে বিসিবির চিকিতসক দেবাশিষের পরামর্শে সেরে ওঠার চেষ্টা করলেও সেটা কাজে আসেনি। উল্টো কয়েকদিন পর গোঁড়ালির হাড়ে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। তখন বিসিবি উদ্যোগ নেয় এই ক্রিকেটারকে বিদেশে পাঠানোর।
তাসকিনকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার সময় ধারণা করা হচ্ছিল, অপারেশন করাতে হবে চোট সারাতে। তবে অভিজ্ঞ চিকিতসকরা ইনজুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান যে এই পরিস্থিতিতে অপারেশনের চেয়ে নন সার্জিকাল উপায়ে ইনজুরি সারানো সবচেয়ে ভালো হবে। এক্ষেত্রে তারা একটি পূনর্বাসন প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা দিয়েছেন যেটা তাসকিনকে মেনে চলতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির চিকিতসক দেবাশিষ বলেন, 'চিকিতসকরা মনে করছেন নন সার্জিকাল উপায়ে ঘরোয়াভাবে এই ইনজুরি কাটিয়ে ওঠাই তাসকিনের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে। পূনর্বাসন প্রক্রিয়া এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে সে ফিটনেস ধরে রেখে ধীরে ধীরে ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে পারে। আমরা তার উন্নতির বিষয়ে আশাবাদী।'
জুনের শুরুর দিকে তাসকিন মাঠে ফিরতে পারবেন বলে আশাবাদ জানিয়েছেন দেবাশিষ, 'পূনর্বাসন প্রক্রিয়া ঠিকঠাকভাবে শেষ হলে, আশা করা যাচ্ছে জুনের শুরুর দিকে ম্যাচ খেলার মতো ফিট হয়ে যাবেন তাসকিন।' সময়।