News update
  • Irregular entry, false asylum claims harm Bangladesh’s global standing     |     
  • Dhaka breathes ‘very unhealthy’ air Tuesday morning     |     
  • Election Code of conduct gazetted, banning posters-drones, AI misuse     |     
  • Rivers Keep Swallowing Land as Bangladesh Battles Erosion     |     
  • UN Warns Refugees Caught in Climate–Conflict Cycle     |     

বিপিএলের টিকিট প্রত্যাশী দর্শকদের ওপর লাঠিচার্জ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2024-02-29, 6:17pm

images-17-9696a6b9aa6c88bfc7b52f3935411d781709209125.jpeg




সাধারণত আমরা দেখে থাকি রাজনীতির মাঠে কোনো দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন বা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে থাকে পার্টি বা দলগুলো। সেখানে অনেক সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বা বিরোধী পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি বা লাঠিচার্জের মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এবার সেরকমই ঘটেছে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে।

আগামীকাল বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচ। এজন্য বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল-কুমিল্লার লড়াই দেখার জন্য সকাল থেকে টিকিট কাউন্টারে ভিড় জমাতে শুরু করেন। সময় পেরোতেই লাইন বাড়তে থাকে। বিসিবির নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে টিকিট বিক্রি শুরু করার কথা থাকলেও দুপুর ১টা বাজলেও টিকিট কাউন্টারে বিসিবি কর্মকর্তাদের দেখা যায়নি।

এতে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে টিকিট প্রত্যাশীরা। একপর্যায়ে টিকিট কাউন্টার ছেড়ে মিরপুর স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেটের সামনের দুই রাস্তা অবরোধ করে রাখে ক্রিকেটভক্তরা। রাস্তা থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তাদের ওপর চড়াও হয় টিকিট না পাওয়া দর্শকরা।

এরপর কয়েক ঘণ্টা পেরলেও টিকিট কিনতে পারছিল না তারা। তবে বাংলাদেশের মানুষ এতটা ক্রিকেটকে ভালোবাসে তারা টিকিট না নিয়ে বাড়ি ফিরবে না এমন পন করতে থাকে।

বিক্রেতারা আসলে তাদের দিকে জুতা ছুড়ে মারতে থাকে ভোর থেকে টিকিটের অপেক্ষায় থাকা কুমিল্লা-বরিশালের দর্শকরা। তবুও টিকিট পাচ্ছিল না তারা। এ সময় তীব্র গরমে বেশ কয়েকজন ভিড়ের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এ ছাড়াও দর্শকের চাপ এতোটা বেড়ে যায় ধাক্কাধাক্কিতে টিকিট কাউন্টারের লোহার তৈরি ব্যারিকেড লাইনগুলো ভেঙে যায় এসময় অনেকেই আঘাত পান। এক পর্যায়ে কিছু দর্শক টিকিট কাউন্টারের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন।

তবে এমন পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে দর্শকদের ওপর লাঠিচার্জ করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এতে অনেকেই আঘাত পান, সেই সঙ্গে ভোর রাত থেকে আকড়ে ধরে থাকা টিকিটের সামনের লাইন থেকেও ছিটকে পড়েন। এ সময় এক কলেজ ছাত্র তার সামনের জায়গা হারানোয় কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তবে দর্শকদের মনে প্রশ্ন একটায় মিরপুরের ২৫ হাজার টিকিট গেল কোথায়। মিরপুরের স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, আমরা জানতে চায় ২৫ হাজার টিকিট কোথায় গেল। ধরে নিলাম ৫ হাজার টিকিট ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকসহ কর্মকর্তারা পেল। আর বাকি ২০ হাজার টিকিট কোথায়।

এদিন কাউন্টারের টিকিটের জন্য অপেক্ষা করলেও কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের কাছে আগের রাতেই টিকিট পৌঁছে গেছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। এক ব্যক্তি বলেন, আমাকে ৩০০ টাকার টিকিট একজন ১ হাজার টাকায় দিতে চাচ্ছিল আমি না করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে বিসিবির মন্তব্য জানতে একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কেউই ফোন ধরেননি। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।