
ভোরের কুয়াশা আর শীতল হাওয়ায় পঞ্চগড়ের সকালগুলো আরও ঠান্ডা হয়ে উঠেছে। দিনের শুরুতে বেশ ঠান্ডা থাকলেও সূর্য উঠলেই স্বস্তিতে ফেরে জনজীবন। এ জেলার বাসিন্দা রিকশাচালক মকছেদ আলী বলেন, ‘দিনে ঠিকঠাক কাজ করা যায়, কিন্তু রাত হলেই শীত জেঁকে বসে। বড় কম্বল ছাড়া ঘুমানো যায় না।’
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
আগের দিন শুক্রবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি আর বুধবার ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায়।
রাতের দিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। ধাক্কামারা এলাকার শ্রমিক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে ঠান্ডা বেশি পড়ে। কম্বল আর লেপ ছাড়া থাকা যায় না।’
অন্যদিকে সকালে সূর্যের দেখা মিলতেই স্বস্তি অনুভব করেন স্থানীয়রা। তেঁতুলিয়ার বাসিন্দা রফিকুল হাসান বলেন, ‘ভোরে কুয়াশা আর ঠান্ডায় বাইরে বের হওয়া মুশকিল। তবে সূর্য উঠলেই শীত কমে আসে। তখন চলাফেরা অনেক সহজ হয়।’
চা-দোকানি জামাল উদ্দিন বলেন, ‘সকাল ৮টার পর রোদ উঠলে ঠান্ডা আর আগের মতো লাগে না। বাজারে লোকজনও তখন বাড়তে থাকে।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘টানা কয়েকদিন ধরেই তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠা-নামা করছে। ভোররাতে ঠান্ডা বাতাস বেশি সক্রিয় থাকায় তখন তাপমাত্রা দ্রুত নেমে যায়। তবে সূর্য ওঠার পর স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা উষ্ণতা আসে। আজ শনিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মাসের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।’