News update
  • US Issues Travel Alert for Bangladesh Ahead of Election     |     
  • Air ambulance carrying bullet-hit Hadi flies for Singapore     |     
  • Can Dhaka’s arms recovery drive ensure peaceful polls?     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Monday morning     |     
  • BD peacekeepers' deaths: UN chief calls Dr. Yunus, offers condolence     |     

বঙ্গোপসাগরে মাছধরা ট্রলারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ

অপরাধ 2025-02-09, 12:01am

three-fishermen-received-bullet-injuries-as-dacoity-was-committed-in-fishing-trawlers-neat-the-sundarbans-on-thursday-night-d9ee3ebaa22ab99f6548382f3a59a9261739037698.jpg

Three Fishermen received bullet injuries as dacoity was committed in fishing trawlers near the Sundarbans on Thursday night.



পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এফবি মা নামের একটি মাছ ধরা ট্রলারে জলদস্যুরা দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত করেছে। এ সময় জলদস্যুদের হামলায় হামলায় ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারী) রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে পায়রা বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে এ ঘটনা ঘটে। জলদস্যুদের গুলিতে আহত জেলেরা হলেন-জালাল শরীফ (৫৫), মো: শাহআলম  (৪৫), মিজানুর রহমান (২৫)। এদের সকলের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার বিভিন্ন গ্রামে।

শুক্রবার দুপুরে আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত  চিকিৎসক জালাল শরীফের অবস্থা সংকটপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। বাকি দুজন কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জালাল শরীফের ডান চোখে গুলি লেগেছে, বাকি দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। 

এফবি মা ট্রলারের মাঝি সরোয়ার হোসেন জানান, ১৩ জন জেলে নিয়ে মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে যান, শুক্রবার রাতে তীরে ফেরার পথে একদল জলদস্যু তাদের ট্রলারে বন্দুক দিয়ে  গুলি চালায়। তাদের গুলিতে ট্রলারে থাকা ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ হন। এসময় বাকি জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ট্রলারে থাকা প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের ইলিশ, ১২ টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, জ্বালানী তৈলসহ আনুষঙ্গিক প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরে তারা প্রাণ ভিক্ষা এবং ট্রলারটি না নেওয়ার অনুরোধ জানালে দস্যুরা মালামাল নিয়ে চলে যায়। ফেরার সময় এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২ টার দিকে মহিপুর মৎস্য বন্দরে এসে ট্রলার মালিককে জেলেরা বিষয়টি অবগত করেন।

এ বিষয়ে মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস বলেন, এফবি মা নামের একটি ট্রলারে জলদস্যুদের ডাকাতির ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করছি।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। - গোফরান পলাশ