News update
  • Body of Osman Hadi Returns to Dhaka From Singapore Late     |     
  • Fakhrul condemns attacks on media, calls for unity, justice     |     
  • 2 cops among 4 hurt in clash outside Indian Assit H.C. in Ctg     |     
  • Inqilab Moncho urges people to avoid violence     |     
  • Hadi’s death: Prothom Alo, Daily Star offices set afire      |     

কলেরায় এক বছরে মৃত্যু বেড়েছে ৭১ শতাংশ: ডব্লিউএইচও

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক স্বাস্থ্য 2024-09-05, 11:41am

eyeryeryrey-490a506afc417aeb021486d04e2393e31725514899.jpg




বিগত ২০২৩ সালে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। আগের বছরের সঙ্গে তুলনা করলে রোগটিতে ৭১ শতাংশ বেড়েছে মৃত্যুহার।

জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তাবিষয়ক অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান নির্বাহী তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, অনিরাপদ পানি ও পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, দারিদ্র্য এবং বাস্তুচ্যুতির জেরে কলেরাজনিত মৃত্যুহারে এই উল্লম্ফণ ঘটেছে। অথচ এই রোগটি নিরাময়যোগ্য এবং সঠিক চিকিৎসা পেলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।

অত্যন্ত সংক্রামক এবং প্রাণঘাতী রোগ কলেরার জন্য দায়ী ভিব্রিও কলেরিয়া নামের একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া। দূষিত পানির মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায়। এক সময় এই রোগটির প্রাদুর্ভাবে ভারতবর্ষে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেতো।

২০২৩ সালের কলেরা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে নিজেদের তথ্য দিয়েছে ৪৫টি রাষ্ট্র। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে ডব্লিউএইচও। সেখানে বলা হয়েছে, গত বছর আফ্রিকার দেশগুলোতে কলেরা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা হিসেবে ১২৫ শতাংশ। তবে একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব কমেছে ৩২ শতাংশ।

শঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে, প্রতি বছরই বাড়ছে কলেরায় মৃত্যুর সংখ্যা। ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে মৃত্যুহার বেড়েছিল ১৩ শতাংশ, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বেড়েছে ৩৮ শতাংশ এবং সবশেষ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে ৭১ শতাংশ।

২০২৩ সালে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, মালাউই, সোমালিয়া, হাইতি, মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়েসহ মোট ২২ টি দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল কলেরা । এখন পর্যন্ত এই পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদনটিতে।

কলেরা প্রতিরোধের জন্য টিকা রয়েছে, তবে বিশ্বের মাত্র একটি কোম্পানি সেই টিকা উৎপাদন করে। ফলে একদিকে এই টিকার দাম যেমন বেশি, তেমনি যোগানও অপ্রতুল। তাই টিকার ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য কোম্পানিকেও এ খাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।  আরটিভি