
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনয়নে বিসিবি পরিচায়ক হয়েছেন করপোরেট ব্যক্তিত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠক রুবাবা দৌলা। সোমবার (৩ নভেম্বর) প্রথম বোর্ড সভায় যোগ দেন তিনি। এরপরই রুবাবা দৌলাকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ; যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
ফেসবুকে রুবাবা দৌলার ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘এরপরও যদি পোলাপান পারফরম্যান্স না করতে পারে তাহলে আর আশা নাই।’
তবে ইরফান সাজ্জাদের ওই পোস্ট ভালোভাবে নেননি নেটিজেনদের একাংশ। অভিনেতার পোস্টকে নোংরামি বলে মনে করছেন তারা।
তুনাজ্জিনা সিকদার তুনা নামের ফেসবুক ব্যবহারকারী ইরফানের পোস্টের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, জনাব ইরফান সাজ্জাদ দয়া করে আপনার সংবাদ উপস্থাপিকা স্ত্রী এবং নিজের কোনো বোনকে (যদি থাকে) জিজ্ঞেস করবেন তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে আপনার ক্যাপশনের মতো কথা শুনতে কম্ফোর্টেবল কিনা?
এরপর তিনি আরও লিখেছেন, দ্বিতীয়ত, আমি জানি না আপনার সহকর্মীরা এরকম রসিকতা সহজভাবে নেয় কিনা। তবে হ্যাঁ, দুই ক্ষেত্রেই যদি আপনি ইতিবাচক উত্তরও পান তবু আপনার জেনে রাখা দরকার যে রসিকতা ও নোংরামির ভেতর একটা সূক্ষ্ম ফারাক আছে। আশা করব আপনার সুবুদ্ধির উদয় হবে।
‘নোংরা’ শব্দচয়নের জন্য জনসম্মুখে ইরফানকে ক্ষমা চাওযার আহ্বান জানান তিনি।
পোস্টটি নজর এড়ায়নি অভিনেতা ইরফানের। মন্তব্যের ঘরে অভিনেতা লিখেছেন, আপনি আমাকে কতটুকু চেনেন বা জানেন আমি জানি না। আমি সবসময় ভাবি আমি একজন খুব সাধারণ এবং সবার মতো আমিও বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন বড় ভক্ত। আপনি আমার পোস্ট খেয়াল করলে দেখবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাজে পারফর্মেন্স নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সার্কাজম পোস্ট করেছি। এটাও রসিকতামূলক পোস্ট ছিল! রুবাবা (রুবাবা দৌলা) আপু আমার ক্রাশ। আমি তাকে স্বাগত জানাই। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম এত সুন্দর এবং মেধাবী একজন মানুষ বিসিবিতে যুক্ত হয়েছেন তারপরও যদি বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা মোটিভেশন না পাই, পারফর্মেন্স না করে।
এরপর পোস্টটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নিয়ে এই তারকা লেখেন, যাই হোক আপনি যদি ভুল বোঝেন আমার কিছু করার নেই। আর পাবলিক তো পাবলিক! কোনো কিছু পোস্ট করলেই তো উল্টোপাল্টা কমেন্ট করে। অনেকে যেহেতু ভুল বুঝেছে তাই আমি পোস্ট সরিয়ে নিচ্ছি।
রুবাবা দৌলা ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাডমিনটন ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন।