News update
  • Chief Adviser Dr Yunus pays homage to martyred intellectuals     |     
  • Martyred Intellectuals Day: A Nation’s Loss and Resolve     |     
  • EC seeks enhanced security for CEC, ECs, election officials     |     
  • Humanoid robots take center stage at Silicon Valley summit, but skepticism remains     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality was recorded in Dhaka on Sunday     |     

গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি নিয়ে দোহায় অগ্রগতির খবর

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-05-18, 10:51am

ce69e0330fdc43156a021df1ba0adcbdb779eeb81cd54f8d-543885eea706f1cd72828345ae0378f41747543897.jpg




গাজায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির জন্য হামাস ও ইসরাইল আলোচনা শুরু করেছে। শনিবার (১৭ মে) দোহায় কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই আলোচনা শুরু হয় বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে নয়জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে হামাস।

প্রস্তাবিত নতুন চুক্তিতে বলা হয়, গাজায় প্রতিদিন ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশে এবং গাজা থেকে রোগীদের সরিয়ে নেয়ার অনুমতি দেবে ইসরাইল। এছাড়া কতজন জিম্মি জীবিত আছে এবং সব জিম্মিদের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে ইসরাইল সরকার।

প্রস্তাবিত চুক্তির বিষয়ে ইসরাইল এখনও প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে আলোচনার আগে দেশটি বলেছে, তারা গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে না বা যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেবে না।

গাজায় হামাসকে পরাজিত করা এবং সেখানে থাকা ইসরাইলি বাকি জিম্মিদের মুক্ত করতে বড় ধরনের একটি সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণার পর যুদ্ধবিরতি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা কথা জানা গেল।

হামাস প্রধানের উপদেষ্টা তাহের আল নোনো শনিবার বিবিসিকে জানান, দোহায় ইসরাইলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন দফায় আলোচনা শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষ কোনো ‘পূর্বশর্ত’ ছাড়াই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে।

শনিবার রাতে একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনাকারী দলকে আপাতত কাতারে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টায় নেতানিয়াহু শনিবার দিনব্যাপী যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নেয়া প্রতিনিধিদল, কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার এবং মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন।

গত বৃহস্পতিবার থেকে গাজায় ইসরোইলের হামলায় কমপক্ষে ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে উপত্যকারা উত্তর ও দক্ষিণে হাসপাতাল এবং শরণার্থী শিবিরেও হামলা হয়েছে।

দুই মাস স্থায়ী একটি যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর ১৮ মার্চ থেকে ইসরাইল গাজায়  পুনরায় হামলা শুরু করে। এরপর উপত্যকাটিতে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে।

গত সোমবার জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গাজার জনগোষ্ঠী বর্তমানে ‘চরম দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে’ রয়েছে। যদিও ইসরাইলি সরকার বারবার দাবি করে আসছে, গাজায় কোন খাদ্য সংকট নেই।

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় গাজায় ৫৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।