জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানে ভারতের সামরিক বাহিনীর অপারেশন সিঁদুরের পর জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাত ৮টায় দেওয়া ভাষণের ঠিক পরপরই ভারত-নিয়ন্ত্রত কাশ্মীরের সাম্বা এবং পাঞ্জাবের জলন্ধর এলাকায় ড্রোনের উপস্থিতি দেখা গেছে। এ ঘটনার পর কিছু এলাকায় তাৎক্ষণিক ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়।
ব্ল্যাকআউটের আওতায় পড়েছে পাঠানকোট। বৈষ্ণদেবী ভবন যাত্রাপথের কিছু অংশ সাম্বা থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আকাশে লাল রঙের রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, যা ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্রিয়তার ইঙ্গিত দেয়। আকাশে ওড়ার সময় ড্রোন লক্ষ্য করে প্রতিরক্ষা বাহিনী গুলি ছুড়েছে বলে জানা গেছে। সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
জলন্ধরের উপকমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুরানাসি সেনা ঘাঁটির আশপাশে ড্রোন দেখা যাওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু এলাকায় আলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে এখনো সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট হয়নি। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সশস্ত্র বাহিনী যথারীতি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার দাসুয়া এলাকায় ৭-৮টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন স্থানীয়রা। জেলার উপকমিশনার আশিকা জানান, আমরা ইতোমধ্যে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করেছি এবং তারা নিশ্চিত করেছে যে ড্রোন শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ কার্যক্রম চলছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী, দাসুয়া ও মুকেরিয়া এলাকায় ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছে।
প্রশাসন সাধারণ জনগণকে গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে এবং অফিসিয়াল উৎস থেকে তথ্য গ্রহণ করতে বলেছে। এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার নতুন মাত্রা তৈরি করেছে এবং দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন নরেন্দ্র মোদি। সন্ত্রাসবাদ এবং পরমাণু ইস্যুতে পাকিস্তানকে এক প্রকার হুমকি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একসঙ্গে চলতে পারে না। আর পানি এবং রক্তও একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।
মোদি বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী সবসময় সতর্ক। আকাশ, স্থল ও সমুদ্রে সর্বত্র আমরা প্রস্তুত থেকেছি। ‘নতুন নর্মাল’ তৈরি করেছে সেনারা। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবার জবাব দেওয়া হবে। কোনো ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল’ ভারত সহ্য করবে না।