News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

কাশ্মীরে হামলার নিরপেক্ষ তদন্তে সমর্থন চীনের, উত্তেজনা কমানোর আহ্বান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংঘাত 2025-04-28, 7:00am

wttrww-e217570f960f9a7f092f147fa13b46351745802015.jpg

বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার গত বছরের ১৫ মে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। ছবি : চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়



কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, আমরা তাৎক্ষণিক নিরপেক্ষ তদন্ত শুরুর বিষয়টিকে সমর্থন করি। আশা করি উভয় পক্ষই সংযম প্রদর্শন করবে, একে অপরের দিকে এগিয়ে আসবে এবং উত্তেজনা কমাতে কাজ করবে।

আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের সঙ্গে ফোনালাপে এসব কথা বলেন ওয়াং ই। খবর গ্লোবাল টাইমসের।

ফোনালাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনার সর্বশেষ ঘটনাবলি সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, পাকিস্তান সর্বদা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে এমন কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক বলেন, পাকিস্তান পরিপক্কভাবে পরিস্থিতি সামলাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং চীন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে। 

এ সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, চীন ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা সব দেশের যৌথ দায়িত্ব এবং চীন ধারাবাহিকভাবে পাকিস্তানের দৃঢ় সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপকে সমর্থন করে।

ওয়াং ই বলেন, লৌহবর্ম বন্ধু এবং সর্বকালের কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদার হিসেবে চীন পাকিস্তানের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো সম্পূর্ণরূপে অনুধাবন করে এবং দেশটির সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থ সমুন্নত রাখার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। 

ওয়াং বলেন, চীন দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করার পক্ষে সমর্থন করে। সংঘাত ভারত ও পাকিস্তানের মৌলিক স্বার্থ বা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য কোনো উপকারে আসবে না। বেইজিং আশা করে, উভয়পক্ষই সংযম প্রদর্শন করবে, একে অপরের দিকে এগিয়ে যাবে এবং উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কাজ করবে।

গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জম্মু ও কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক। হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

পাকিস্তান ভারতীয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে এবং ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদী এবং এর উপনদীগুলোর জন্য সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে। টানা দুই দিন ধরে দুই দেশের সেনারা সীমান্তে গুলি বিনিময় করেছে।