
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্ত না করা ও জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে নার্সদের এক অংশ। আজ শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল থেকে বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে সড়ক বন্ধ করে এই সমাবেশ শুরু করেন তারা।
আন্দোলনকারীরা জানান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে নার্সদের জন্য সৃজনকৃত সব পদে জ্যেষ্ঠ, অভিজ্ঞ ও যোগ্য নার্স কর্মকর্তা পদায়ন করা হোক। ১৯৭৭ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নার্স কর্মকর্তারাই নার্সিং শিক্ষা, প্রশাসন ও নার্সিং সেবা কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে প্রশাসন ক্যাডার থেকে মহাপরিচালক ও পরিচালক নিয়োগ হওয়ার পর থেকে নার্সরা বদলি, পদোন্নতি, নার্স নিয়োগ ও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবর্ণনীয় হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন।
মহাসমাবেশ ঘিরে রাজধানীর তোপখানা সড়কের পল্টন মোড় থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই সড়কটিতে চলাচলরত যানবাহনগুলোকে ডাইভারশন করে বিজয়নগর কাকরাইল সড়কের দিকে যেতে দেওয়া হয়। এতে ওই সড়কটিতে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (২১ নভেম্বর) নার্সেস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ন্যাব) পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়, নার্সিং পেশার কতিপয় আওয়ামীপন্থি চক্র আগামী ২২ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নার্স মহাসম্মেলনের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।
সংবাদ সম্মেলনে ন্যাবের সভাপতি জাহানারা সিদ্দিকী লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার নার্সিং অধিদপ্তর একীভূত করার চিন্তাভাবনা করলেও এ বিষয়ে এখনো কোনো আদেশ বা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। তবে এরই মধ্যে নার্সদের কিছু নামধারী আওয়ামীপন্থি নার্স নেতা, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের মদদে আগামী ২২ নভেম্বর প্রেস ক্লাবের সামনে নার্সদের মহাসম্মেলন ডেকেছে।
এ চক্র গত বছরের অক্টোবরে সংস্কারের নামে একমাস রোগীদের কষ্ট দিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ-মিছিল করে জনগণের কাছে নার্সিং পেশার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। তথাকথিত আওয়ামীপন্থি নার্স নেতা আসাদুজ্জামান জুয়েল ও শরীফুল ইসলাম গং বদলি, নিয়োগ, পদায়ন, পদোন্নতি এবং বিভিন্ন মামলা মোকাবিলা করার নামে সাধারণ নার্সদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধাপে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ও এখনো নিচ্ছে।