News update
  • Israeli Aggression against Qatar, Extension of Crimes against Palestine     |     
  • No place is safe in Gaza. No one is safe     |     
  • Stocks fail to recover despite slight gains in Dhaka, Ctg     |     
  • BB Purchases $353m in Dollar Auction to Stabilise Taka     |     
  • Promoting social inclusion of disabled persons thru empowerment     |     

চরফ্যাশনে ১০ হাজার মানুষের জন্য চক্ষু সেবা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক সংগঠন সংবাদ 2025-04-26, 7:41am

09471eea3563fc006cec3ca76a5d2a62dea03fac01d1abf2-37992370c85496069d1d3367b856cce91745631668.jpg




ভোলার উপকূলীয় এলাকা চরফ্যাশনের স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত ১০ হাজার মানুষকে ‘আমার চোখ আমার আলো’ নামে একটি পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে চোখের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার (বিডিপিসি), আদ্-দ্বীন হাসপাতাল, ডাটা ইয়াকা ও ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) চরফ্যাশনে এ প্রকল্পের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আয়োজিত অংশীজন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সিপিপি’র পরিচালক আহমাদুল হক।

সভায় জানানো হয়, গত ১ জানুয়ারি থেকে এ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৮ হাজারের বেশি রোগী চক্ষু চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ৪ হাজার ৬০০ মানুষের মাঝে চশমা বিতরণ করা হয়েছে এবং তিন হাজারের বেশি রোগীর চোখের ছানি অপারেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং যাদের জটিলতা বেশি, তাদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিডিপিসির পরিচালক মুহাম্মদ সাইদুর রহমান এবং সমাপনী বক্তব্য দেন ডাটা ইয়াকা অস্ট্রেলিয়ার আইটি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মাদ হাসিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর, এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আনোয়ার হোসেন, ভোলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী, পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক মীর সাজেদুর রহমান এবং চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রসনা শারমিন মিতি।

অংশীজন সভায় বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন। তাদের মধ্যে ছিলেন- যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক র‍্যান্ডেল স্ট্যাফোর্ড, আদ্-দীন ফাউন্ডেশনের রবিউল হক, বিএনএসবি হাসপাতালের শরিফুজ্জামান পরাগ, সাইটসেভারস-এর বিএম জাহিদুল ইসলাম, ফ্রেড হলোস ফাউন্ডেশনের একেএম বদরুল হক, ভিশনস্প্রিং-এর মাইশা মেহজাবিন এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল-এর মুনীর আহমেদ।

প্রান্তিক পর্যায়ের ১০ হাজার মানুষকে চক্ষু সেবা দেওয়ার জন্য এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আইটি বিশেষজ্ঞ হাসিবুর রহমান বলেন, চোখের আলো হারানো প্রান্তিক মানুষের জন্য এই প্রকল্প একটি আশার আলো। যাতে তারা চিকিৎসার সুযোগ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পায়।

আলোচকরা বলেন, এ ধরনের সমন্বিত উদ্যোগ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র জনগণের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এই মডেলটি দেশের অন্যান্য জেলাতেও সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।