News update
  • Palestine economy in ruins, as Gaza war sets dev back 2 decades     |     
  • Law to ban rice polishing effective from Aman season     |     
  • Khaleda back home from hospital     |     
  • Miton of Child, Old Age Care made fake death certificates     |     

নবাব সলিমুল্লাহর জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির দাবী

সংগঠন সংবাদ 2022-01-15, 11:11pm

muslim-league-d2f62450c03f12ca1fe855ca80804b251642266702.jpg

Muslim League



নবাব সলিমুল্লাহ মুসলমানদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য নিজের নবাবী থেকে শুরু করে জীবন পর্যন্ত বাজি ধরেছেন। ১৯০৮ সালে অমৃতসরে মুসলিম লীগ সভায় নবাব সলিমুল্লাহ বলেছিলেন, যখন আমি দেখলাম আমার জাতি তথা হযরত মুহাম্মদ (সা:) উম্মতগন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তখন সিদ্ধান্ত নিলাম প্রয়োজনে নিজে ধ্বংস হব কিন্তু এ জাতিকে রক্ষা করব ইনশাল্লাহ। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার কথা রাখার চেষ্টা করে গেছেন। রাজ্য শাসন, ক্ষমতা দখল তার রাজনীতির লক্ষ ছিল না, বরং তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন বেনিয়া ইংরেজ আর ব্রাহ্মণ্যবাদীদের শাসন শোষণে রাজা থেকে ফকির বনে যাওয়া অশিক্ষিত মুসলমান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ আর শিক্ষিত করার জন্য। মুসলমানদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এবং রাজনৈতিক ভাবে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে ১৯০৬ সনের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার শাহবাগে প্রতিষ্ঠিত হয় অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের। নবাব হওয়ার পরপরই ঢাকার প্রতিটি এলাকায় নৈশ বিদ্যালয় স্থাপনের নির্দেশ ছিল তার শিক্ষানুরাগী হিসাবে আত্মপ্রকাশের প্রথম ধাপ। নিরন্তরভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রাজনীতি ও সামাজিক প্রতিযোগিতার উপযোগী করে গড়ে তোলার মানসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী তোলেন ব্রিটিশ শাসকদের নিকট। সায়মন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত রিপোর্টে বিশ্ববিদ্যালয় করার মত পর্যাপ্ত জায়গা নেই এ রকম খোঁড়া যুক্তির জবাবে তিনি শাহবাগের গোটা বাগানবাড়ী আনুমানিক ৬০০একর জায়গা দান করার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে সুগম করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় সেই বিশ্ববিদ্যালয় আজ নবাবকে এমনকি জন্মবার্ষিকী-মৃত্যুবার্ষিকীতেও স্মরণ করে না অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধীতাকারীদের পালের গোদাকে জাঁকজমকের সাথে স্মরণ করা হয়। নতুন প্রজন্মকে নবাব সলিমুল্লাহ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ভাবে জানানোর লক্ষ্যে পাঠ্যসূচীতে নবাব সলিমুল্লাহর জীবনী অন্তর্ভুক্তি অত্যাবশ্যক।

আজ (১৫ জানুয়ারি, ২০২২) বাদ যোহর উপমহাদেশে মুসলিম জাগরণের প্রাণপুরুষ, অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আহছানউল্ল্যাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল (বর্তমান বুয়েট) ও অসংখ্য এতিমখানা-মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠার মহানায়ক নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১০৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে, পল্টনস্থ কার্যালয়ে বাদ যোহর আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, দেশ বাচাও মানুষ বাচাও আন্দোলনে আহ্বায়ক রাকিবুর রহমান রিপন, দলীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, এ্যাড. জসীমউদ্দিন, অতি: মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাড আফতাব হোসেন মোল্লা, এ্যাড হাবিবুর রহমান, আব্দুল খালেক, নূর আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন থেকে তেলওয়াৎ করেন মানবিক চেতনার কবি মুহাম্মদ ওবায়েদউল্ল্যাহ। সভা শেষে নবাব সলিমুল্লাহ রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি 

বার্তা প্রেরক - কাজী এ.এ কাফী, অতিঃ মহাসচিব