
থাইরয়েড রোগীরা সাধারণত পরিমাণমতো অপরাজিতা ফুলের চা খেতে পারেন, তবে খাওয়ার আগে কিছু সতর্কতা মানাও দরকার।
ভালো দিক
১. অপরাজিতা ফুলে ক্যাফেইন নেই, তাই থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যে সরাসরি প্রভাব ফেলে না।
২. এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
যাদের সাবধান থাকা উচিত-
১. হাইপোথাইরয়েড (থাইরয়েড কম): সাধারণত সমস্যা নেই, তবে খালি পেটে বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত না।
২. হাইপারথাইরয়েড (থাইরয়েড বেশি): খুব অ্যাসিডিক বা উত্তেজক কিছু না হলেও, যেহেতু হার্বাল চা দেহে পৃথকভাবে প্রতিক্রিয়া করতে পারে—কম পরিমাণে শুরু করা ভালো।
যারা থাইরক্সিন ওষুধ খাচ্ছেন তারা ওষুধ খাওয়ার অন্তত ৩০–৬০ মিনিট পর অপরাজিতা চা খাবেন। ওষুধের শোষণে বিঘ্ন ঘটানোর মতো কোনো প্রমাণ নেই, তারপরও হার্বাল পানীয়গুলো ওষুধের কাছাকাছি সময়ে না খাওয়াই নিরাপদ।
যাদের না খাওয়াই ভালো-
১. যাদের লো ব্লাড প্রেসার থাকে — অপরাজিতা চা কখনও কখনও চাপ আরও কমিয়ে দিতে পারে।
২. গর্ভবতী বা দুধ পান করানো মায়েদের— অনেক হার্বাল চায়ের মতোই নিরাপত্তা নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা নেই।