
নিয়মিত ও পরিমিত মধু খাওয়া কিছু রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞরাও মত দিয়েছেন মধু খেলে এই ৩ রোগ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
দেখে নিন শীতকালে মধু যে ৩ বড় রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে-
১. শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ (সর্দি-কাশি, ব্রঙ্কাইটিস): মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ সর্দি-কাশির উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। শীতকালে শুকনা ঠান্ডা বাতাসে গলা ব্যথা বা ব্রঙ্কাইটিসের ঝুঁকি বাড়ে। মধু গলার প্রদাহ কমায় ও কফ নরম করে। রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু কাশির তীব্রতা কমায়—এটা গবেষণায় প্রমাণিত।
২. পাকস্থলী ও হজমজনিত সমস্যা (গ্যাস্ট্রিক, আলসার ঝুঁকি): শীতে হজমশক্তি তুলনামূলক ধীর হয়ে যায়। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ পাকস্থলীর দেয়ালকে সুরক্ষা দেয় এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে—যা আলসারের প্রধান কারণ। সকালে কুসুম গরম পানির সাথে ১ চামচ মধু হজম প্রক্রিয়া আরাম দেয়।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি (ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল): শীতকালে রক্তনালী সংকুচিত হয়, ব্লাড প্রেসার বাড়ে, হৃদরোগ বাড়ে। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে "খারাপ কোলেস্টেরল" (এলডিএল) কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল ( এইডিএল) বাড়াতে সাহায্য করে। এতে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
কীভাবে খাবেন-
১. সকালে কুসুম গরম পানিতে ১ চামচ
২. রাতে ঘুমানোর আগে ১ চামচ
৩. চায়ের চিনি বাদ দিয়ে ১ চামচ মধু
যারা সাবধানে খাবেন-
১. ডায়াবেটিস রোগী
২. যাদের অ্যালার্জি আছে