News update
  • UN Report Warns Inequality Fuels Global Pandemic Vulnerability     |     
  • Trump claims Russia, China secretly conduct underground nuclear tests     |     
  • St Martin’s reopens, but no ships sail as overnight stays banned     |     
  • Chief Adviser directs armed forces to prepare for election security     |     
  • After rain ‘Moderate’ air quality recorded in Dhaka on Sunday     |     

নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2025-10-22, 8:57pm

ertrt43545-1a3f3d8eb7800f5cd38f1d70f1d6a6a31761145058.jpg




বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন দুটি একেবারেই আলাদা জিনিস। দুটির মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা কোনো জটিলতা চাই না। গণভোট আগে হতে হবে। নভেম্বরের শেষের দিকে গণভোট করেন। তারপরেও আরও আড়াই মাস থাকবে জাতীয় নির্বাচনের।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জামায়াত প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডা. তাহের।  

সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জুলাই সনদ প্রসঙ্গে আমরা দুটি স্পষ্ট কথা বলেছি, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বহু লোকের পরিশ্রমে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আমরা যে ঐকমত্যে পৌঁছেছি, তার মধ্যে মৌলিক কয়েকটি পয়েন্ট আছে। এখন  প্রয়োজন এটাকে আইনি ভিত্তি দেওয়া, এটাকে বাস্তবায়ন করা এবং এই সনদের মধ্যে যেগুলো আগামী নির্বাচন সম্পৃক্ত-সংশ্লিষ্ট, সেগুলোকে আগেই পাস করিয়ে তার ভিত্তিতে নির্বাচন দেওয়া। এটা হলো গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে বলা হয়েছে, যেসব পয়েন্টে আপনারা একমত হয়েছেন সেগুলো নিয়েই (জুলাই) সনদ, এটা স্বাক্ষর করুন। বাস্তবায়নের ব্যাপারে আমরা আপনাদের সঙ্গে একমত হয়েই সেগুলো আমরা করব। আমরা আজ এটা বাস্তবায়নের জন্য উনার (প্রধান উপদেষ্টা) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন, এটা বাস্তবায়ন যদি না হয়, তাহলে এই পরিশ্রম পণ্ডশ্রম ছাড়া কিছু নয়। সেকারণে তিনি বলেছেন, আমি যতটুকু উদ্যোগ নেব, আমরা সে ব্যাপারে বলেছি, একটি আদেশের মাধ্যমে এটাকে সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে।’

জামায়াতে ইসলামীর এই নায়েবে আমির বলেন, ‘এটা সংবিধান নয়, এটা এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট, যাতে কোনো সরকার এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে, দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন। তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন, একটি আদেশের মাধ্যমে এটি হবে। কেউ বলেছেন এটার নিয়ে অধ্যাদেশ দেওয়ার জন্য, কিন্তু অধ্যাদেশ দুর্বল। অধ্যাদেশে এগুলোতে সাংবিধানিক মর্যাদায় যাওয়ার স্ট্র্যাংথ অধ্যাদেশের নেই। কিন্তু আদেশ সাংবিধানিক পরিবর্তনের ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের দিক থেকে ইকুইভ্যালেন্ট (সমকক্ষ)। সব বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, একটি আদেশের মাধ্যমেই (জুলাই সনদ) এটাকে বৈধতা দিয়ে হবে আর সেই আদেশের ওপরেই গণভোট হবে।’      

জামায়াতনেতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘গণভোটের ব্যাপারে বিএনপি কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিল না, তবে শেষ পর্যন্ত তারা রাজি হয়েছে। এরপরেই তারা একটি জটিলতা তৈরির চেষ্টা করছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একদিনে হতে হবে। দুটি একেবারেই আলাদা জিনিস। নির্বাচন হচ্ছে কারা সরকার ক্ষমতায় আসবে তা নির্ধারণ করতে আর গণভোট হলো আমাদের কতগুলো সংস্কার যে কীভাবে সরকার পরিচালিত হবে, কীভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ কী হবে, এসব মৌলিক বিষয়। দুটির মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা বলেছি, গণভোটের মাধ্যমে সংস্কার কমিটি এটা আলাদাভাবে পাস করতে হবে। জনগণ যদি হ্যাঁ বলে পাস হয়ে যাবে। জনগণ যদি না বলে পাস হবে না। জনগণই সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক। জনগণ যদি হ্যাঁ বলে তাহলে সেটার (জুলাই সনদ) ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। সেটাতে একটি বিষয় আছে, উচ্চকক্ষ। তাহলে নির্বাচন ও গণভোট যদি একসঙ্গে হয়, তাহলে উচ্চ কক্ষ ইলেকশন কখন হবে? আমরা বলেছি, কোনো জটিলতা চাই না। গণভোট আগে হতে হবে। আমরা বলেছি, নভেম্বরের শেষে গণভোট করেন। এখনও এক মাসের বেশি সময় আছে। তারপরেও আরও আড়াই মাস থাকবে জাতীয় নির্বাচনের। এখানে সময়ের কোনো সমস্যা নেই।’

ডা. তাহের আরও বলেন, ‘দেশে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, সবার অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন আমাদের জন্য জরুরি দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য। কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি না করে আমরা আমরা সবাই মিলে যেন ফেব্রুয়ারিতে একটি আনন্দমুখর নির্বাচনে যেতে পারি, সেভাবে আচরনের জন্য আমি সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাই।’

জামায়াতনেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আপনারা জানেন নির্বাচন কমিশনে, সচিবালয়ে, পুলিশ প্রশাসনে প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ কর্মকর্তাই একটি দলের আনুগত্য করছে। তারা বলছে, একটি দল থেকে প্রচণ্ড চাপ আসছে। আমরা বলেছি, আপনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো আছেন। আপনি এটাকে লেভেল প্লেয়িং ফইল্ড তৈরি করেন। সবার জন্য সমান ক্ষেত্র তৈরি করেন। নির্বাচনের আগে যেখানে যেখানে প্রয়োজন রদবদল করেন। উনি বলেছেন, এটি নিজে তত্ত্বাবধান করবেন এবং লটারি পদ্ধতিতে পোস্টিং দেবেন।’