Kazi Abul Khair2.
ডাকসু নির্বাচনকে গণতন্ত্রের পথে পদযাত্রা হিসাবে আখ্যায়িত করে বিজয়ী এবং অংশগ্রহণকারী সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ। আজ (১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫) দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে দলীয় অভিমত ব্যক্ত করে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪৭,৫২,৬৯,৭১,৯০,২৪ এর মত বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে জাতির দিশারী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
বঙ্গভঙ্গ রদের মত অপূরণীয় রাজনৈতিক ক্ষতি মেনে নিয়ে বিনিময়ে তুলনামূলক ভাবে অতি সাধারণ একটি বিশ্ববিদ্যালয় দাবীর সুদূরপ্রসারী ব্যাপকতা ও গুরুত্ব, ডাকসু নির্বাচন’২৫ এর মাধ্যমে নতুন করে আবারও প্রমাণিত হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা নবাব খাজা সলিমুল্লাহ সহ তৎকালীন মুসলিম জাতীয়তাবাদী নেতাদের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্তের জন্য জাতী তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংসদ যা দেশের বিকল্প সংসদ নামে পরিচিত ডাকসু নির্বাচন’২৫ ছিল ফ্যাসিবাদী অপশক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া গণতন্ত্রের পথে পদযাত্রার নির্বাচন। ৮০শতাংশ ভোটারের ভোটাধিকার প্রয়োগই প্রমাণ করেছে ফ্যাসিবাদী ও তাদের দোসররা আজ জাতীয় রাজনীতিতে অগ্রহণযোগ্য। উৎসবমুখর পরিবেশে ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে, ভারতীয় তাবেদার শ্রেণীর অংশগ্রহণ ছাড়াও বাংলাদেশের রাজনীতি তার স্বকীয়তা ও গতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম।
আগ্রাসনবাদী ভারত ও তাদের স্বার্থ রক্ষাকারী বিভিন্ন সংগঠনের অপপ্রচারের সমুচিত জবাব দিয়ে ভোটাররা ফলাফলের মাধ্যমে বার্তা দিয়েছে, ৫ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সাথে সাথে এদেশে চেতনা ব্যবসারও সলিল সমাধি ঘটেছে। একই সাথে তারা ইসলামী মূল্যবোধ ও মুসলিম জাতীয়তাবাদের প্রতি আস্থা রেখেছে। ঘটনাবহুল ডাকসু ২০২৫ এর নির্বাচনকে জাতীয় রাজনীতির বাতিঘর হিসাবে অভিহিত করে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, নতুন প্রজন্মের একদল মেধাবী নাগরিকের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্তহীনতা ও দ্বিধায় ভোগা গোটা জাতীকে ঐক্যবদ্ধ এবং রাজনৈতিক দলসমূহকে সংশোধিত হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করবে। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি