News update
  • BUET team awarded for early breast cancer screening system     |     
  • Greater worker-owner bonhomie needed to speed up dev: Yunus     |     
  • Dhaka’s Rickshaws: The untold mystery of their numbers     |     
  • Historic May Day today - Thursday     |     
  • 248 arrested, illegal nets seized in 6-day drive: River Police     |     

মেয়র হতে ইশরাকের মামলায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক রাজনীতি 2025-04-30, 1:32am

3266172d54b69bd4ba92358df3b57dd8f04a618d07aee913-5af494e323e4829ae8db39a56ef3ee771745955169.jpg




সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ নিয়ে ‘ইশরাক হোসেন বনাম শেখ ফজলে নূর তাপস গং’ মামলার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম ও তৎপরতা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী এ উদ্বেগ জানান।

বিবৃতিতে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, আমরা লক্ষ করেছি, উল্লেখিত মামলার প্রথম তিন বছর পাঁচ মাসে ৩২টি তারিখ নির্ধারণ করা হলেও, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে মাত্র চার মাসে ১৭টি তারিখ দিয়ে মামলাটি তড়িঘড়ি করে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে এত দ্রুততার সঙ্গে তারিখ ধার্য করা হয়নি। ফলে, বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল শুধুমাত্র এই মামলার একটি পক্ষকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে অন্যায্য সুবিধা প্রদান করেছে কি না তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

পাটোয়ারী আরও বলেন, তদুপরি, মামলার গুরুত্বপূর্ণ হলফনামাগুলো বেআইনিভাবে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সম্পাদন ও দাখিল করে আরজি সংশোধন করে ভিন্নধর্মী প্রতিকার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল কোনোরূপ বিচার-বিবেচনা ব্যতিরেক তা গ্রহণ ও মঞ্জুর করেছেন। এই ঘটনাগুলো বিচারিক পদ্ধতির স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

মামলায় কমিশনের ভূমিকা রহস্যজনক ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এই মামলার বিবাদী হওয়া সত্ত্বেও মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি, যার ফলে একতরফা রায় প্রদান করা হয়েছে। এমনকি রায়ের পরে তারা উচ্চ আদালতে প্রতিকার প্রার্থনা না করে মামলার বাদীকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। কমিশনের এমন তৎপরতা অস্বাভাবিক ও উদ্বেগজনক। এর আগেও আমরা দেখেছি নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষ আচরণ বজায় রাখার পরিবর্তে এমন সব বক্তব্য প্রদান করেছে, যা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিচ্ছে বলে জনগণ মনে করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই রায় ঘোষণার আগেই সংশ্লিষ্ট আইনের অধীন গত ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। ফলে পুরো মামলাটিই অকার্যকর হয়ে গেছে। এরপরও রায় ও তড়িঘড়ি করে কমিশন কর্তৃক গেজেট প্রকাশের পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা জনসাধারণের সামনে পরিষ্কার করতে হবে। আমরা মনে করি, একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা ছাড়া গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। এনসিপি এই পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছে। আমরা আশা করি- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ সময়।