News update
  • IFC for united movement to realise fair share of water from India     |     
  • Attacks on foreign students, including Bangladeshis, in Kyrgyzstan     |     
  • “BB lost ability to make independent decisions for banking sector”     |     
  • Flash floods kill at least 68 people in Afghanistan     |     
  • Spanish tourists among four killed in Afg shooting     |     

আলীগ সরকারে না থাকলে মানুষ ঠিক করবে কারা দেশ চালাবে

প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক

রাজনীতি 2024-05-06, 2:29pm

img-20240505-wa0018-2c54cd11d9ff37744c41df1610d985f11714984161.jpg

Saiful His, general secretary, Biplabi Workers Party addressing a press conference on Monday.



ধারাবাহিক কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জনগণকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। 

নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। 

১৫ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার পর এখন  একটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকারের জনপ্রিয়তা যাচাই করা দরকার। সোমবার সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আহুত সংবাদ সম্মেলনে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগের পরিবর্তে কারা দেশ চালাবে  তা দেশের জনগণ নির্ধারণ করবে। একটি অবাধ,নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের সরকার ও নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এর অন্যথ্যা হবার সুযোগ নেই। কিন্তু কেউ  যদি মনে করেন তারা ছাড়া আর কেউ চালাতে পারবেনা- সেটা গণতন্ত্র নয়।

তিনি বলেন, ভোটের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশু রাজনৈতিক দাবি  এবং অগণতান্ত্রিক  রাষ্ট্রব্যাবস্থা  ও সংবিধানের গণতান্ত্রিক রুপান্তরের ৩১ দফা বাস্তবায়নের  লক্ষ্য নিয়েই  রাজপথে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছে। বাস্তবে একটি কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন  রাজনৈতিক দল ও জনগণকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এই কৃতিত্ব অনেকখানি  সরকার ও সরকারি দলের। এখানে অন্য কোন ম্যাজিক নেই। 

তিনি বলেন, এই আন্দোলনে অতিবাম কারা আছে  তা আমাদের জানা নেই। তবে সরকার ও সরকারি দলের  রাজনৈতিক পরিমন্ডলের বাইরে থাকা বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল ঘরানার  প্রায় সমস্ত দল স্বাধীনভাবে নিজেদের মত করে দল ও জোটগতভাবে গণতান্ত্রিক এই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন তার সরকারের অপরাধটা কি? এই  প্রসঙ্গে তিনি সরকারের ১৫ বছরের শাসনের বিপজ্জনক  রাজনৈতিক দিক উল্লেখ করে বলেন, প্রথমতঃ সরকার পরিবর্তনের নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথ সরকার  বন্ধ করে দিয়েছে।  দ্বিতীয়তঃ দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ  গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাস্তবে তারা বিদায় করে দিয়েছেন। 

তৃতীয়তঃ দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ দূর্বল ও ভংগুর করে দিয়ে দেশের অবশিষ্ট  বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক কাঠামোকে তারা নষ্ট করে দিয়েছেন। এসব তৎপরতার মধ্য দিয়ে দেশকে গভীর এক অনিশ্চয়তা ও ভয়ংকর বিপর্যয়ের পথে ঠেলে দেয়া হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,  মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল হিসাবে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর দেশকে সম্ভাব্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে এখন প্রধানমন্ত্রীর সরকার ও তার দল আওয়ামী লীগকে একটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে তাদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দেয়া দরকার। তা নাহলে  সরকারের প্রতিহিংসা - প্রতিশোধের রাজনীতি দেশকে অনিবার্য বিপর্যয়ের খাদে নিপতিত হবে।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারীর কথিত ডামি নির্বাচন সরকারকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা দেয়নি। সে কারণে এই সরকার যত প্রলম্বিত হবে দেশের বহুমাত্রিক সংকট তত বৃদ্ধি পাবে। 

তিনি বলেন, আমরা আশা করব  কালক্ষেপণ না করে বিদ্যমান গভীর রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সরকার ও সরকারি দল অচিরেই কার্যকরি বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

গত ২ মে ২০২৪ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহীদুল আলম নান্নু,  শহীদুজ্জামান লাল মিয়া, মহানগর সদস্য জোনায়েত হোসেন,বাবর চৌধুরী,নান্টু দাস প্রমুখ। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি