News update
  • Fire breaks out at Sundarbans     |     
  • “Working to close gap that makes heated city unlivable for women”      |     
  • Guideline on heat-related illnesses to be launched tomorrow     |     
  • Flood-hit Kenya and Tanzania on alert as cyclone nears     |     
  • Mangoes dropping early in Rajshahi amid intense heat     |     

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2023-02-05, 2:01pm

resize-350x230x0x0-image-210574-1675578524-1de5a138e08705cda99dbb4eb21b668e1675584067.jpg




পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ (৭৯) মারা গেছেন। আরব আমিরাতের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) তার পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, পারভেজ মোশাররফ গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আরব আমিরাতের ‘আমেরিকান হাসপাতালে’ ভর্তি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ। রোববার সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

১৯৪৩-এর ১১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের দিল্লিতে জন্ম পারভেজ মোশাররফের। তারপর পাকিস্তানে চলে যায় তার পরিবার। করাচির সেন্ট প্যাট্রিকস হাই স্কুলে পড়াশোনা। লাহোরের ফোরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিয়ে তিনি যোগ দেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে। তার পর ধাপে ধাপে সেনাপ্রধান এবং দেশের ক্ষমতা দখল।

নওয়াজ শরিফকে হটিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা দখল করেন পারভেজ মোশাররফ। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের নভেম্বরে তিনি পাকিস্তানের সংবিধান বাতিল করে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এর বিরুদ্ধে ওই সময় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। অভিশংসনের ঝুঁকি এড়াতে তিনি ২০০৮ সালে পদত্যাগ করেন।

২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় বেআইনিভাবে সংবিধান বাতিল ও জরুরি অবস্থা জারির দায়ে ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ মোশাররফকে অভিযুক্ত করা হয়। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে বিশেষ আদালতের কাছে বিচারের জন্য সব তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হয়। তবে আপিল ফোরামে মামলাটি তোলার পর বিচারকাজ দীর্ঘায়িত হয়ে পড়ে এবং মোশাররফ ২০১৬ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তান ছেড়ে চলে যান। চিকিৎসার জন্য তাকে দেশত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

২০১৬ সাল থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন ৭৮ বছর বয়সী এ নেতা। তবে দুবাইয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি আর স্বদেশে ফেরেননি। তার কয়েক মাস পরেই পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত তাকে অপরাধী ঘোষণা করে। বারবার আদালতে হাজির না হওয়ায় পাকিস্তানে থাকা তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন আদালত। বাতিল হয় তার পাসপোর্ট এবং পরিচয়পত্রও।

রাষ্ট্রদোহের ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে এ ধরনের রায়ের ঘটনা ছিল এটিই প্রথম।

তবে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসকের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেন দেশটির একটি আদালত। যে প্রক্রিয়ায় পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল, তাকে অসাংবিধানিক উল্লেখ দিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।

নওয়াজ শরিফকে হটিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা দখল করেন পারভেজ মোশাররফ। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের নভেম্বরে তিনি পাকিস্তানের সংবিধান বাতিল করে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এর বিরুদ্ধে ওই সময় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। অভিশংসনের ঝুঁকি এড়াতে তিনি ২০০৮ সালে পদত্যাগ করেন। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।