যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কটাক্ষের জবাবে তীব্র ব্যঙ্গ করলেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ জানানোয় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
গাজা অভিমুখী ত্রাণবহর সুমুদ ফ্লোটিলায় যাত্রা, গ্রেপ্তার এবং পরে অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গ্রেটা থুনবার্গকে ‘রাগী’ ও ‘সমস্যা সৃষ্টিকারী’ বলে অভিহিত করেন এবং দাবি করেন, তার ‘রাগ নিয়ন্ত্রণের সমস্যা’ আছে।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানান থুনবার্গ। ২২ বছর বয়সী এই কর্মী পোস্টে বলেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে তার চরিত্র নিয়ে ‘অতি-প্রশংসামূলক’ মন্তব্য শুনেছেন। সেই সঙ্গে তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ট্রাম্পের উদ্বেগের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তবে বক্তব্যের দ্বিতীয় অংশেই খোঁচা দেন থুনবার্গ। ট্রাম্পকে সরাসরি উদ্দেশ করে তিনি বলেন: ট্রাম্পের উদ্দেশে বলছি— তথাকথিত এই “অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্ট সমস্যা” মোকাবিলার জন্য আপনার কাছে যদি কোনো সুপারিশ থাকে, তবে আমি তা বিনয়ের সঙ্গে গ্রহণ করব। কারণ, (এ ব্যাপারে) আপনার দুর্দান্ত ট্র্যাক রেকর্ড দেখেই বোঝা যায়—আপনি নিজেও সম্ভবত একই সমস্যায় ভুগছেন!
এটি ট্রাম্প ও থুনবার্গের প্রথম সংঘর্ষ নয়। গত জুনেও ট্রাম্প থুনবার্গকে ‘অদ্ভুত’ ও ‘রাগী’ বলে আক্রমণ করেছিলেন, যার জবাবে থুনবার্গ বলেছিলেন, এই পৃথিবীর আরও রাগী নারীর প্রয়োজন।
২০১৯ সালে জাতিসংঘে থুনবার্গের জলবায়ু বক্তৃতার পরও ট্রাম্প তাকে ব্যঙ্গ করে ‘খুবই খুশি এক তরুণী!’ লিখে টুইট করেছিলেন।
২০১৮ সালে শুরু করা ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পাওয়া থুনবার্গ এখন মানবিক সহায়তার কাজেও যুক্ত, বিশেষ করে গাজা উপত্যকায়।
ইসরায়েল থেকে বহিষ্কারের পর সোমবার তিনি গ্রিসে পৌঁছন, যেখানে প্রায় ১৬০ জন অন্যান্য কর্মীর সঙ্গে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ১৭১ জন কর্মীকে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে।