ইন্সটাগ্রাম পেজে প্রায় ১৫ হাজার ফলোয়ারের সাথে শেয়ার করা একটি ছবিতে ছোট্ট একটি মেয়ে নমস্কার জানিয়ে ভুবনভোলানো হাসি হাসছে। গোলাপ দিয়ে সাজানো একটি সিংহাসনে বসে আছে সে।একটি প্যাস্টেল গোলাপী পোশাক, হীরার গয়না এবং একটি টিয়ারা পরা- তাকে যেকোনো ধনী ভারতীয় পরিবারের মেয়ের মতো দেখাচ্ছে- সম্ভবত ডিজনি প্রিন্সেস থিমের জন্মদিনের পার্টির ছবি।
তবে ১৭ জানুয়ারি এ ছবিটির ক্যাপশনে ভিন্ন ব্যাপার জানা যায়। ক্যাপশনে লেখা, “অন্তিম বিদায়ী সমারোহ”- চূড়ান্ত বিদায় অনুষ্ঠান।
পরের দিন আট বছর বয়সী শিশু দেবাংশী সাংভী তার বর্ণিল পোশাক এবং সাংভী এন্ড সন্স-এর উত্তরাধিকারের পার্থিব জীবন ত্যাগ করে। ভারতের গুজরাটের সুরাটে অবস্থিত সাংভি এন্ড সন্সের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের হীরার ব্যবসা রয়েছে।
দেবাংশীর অভিভাবকরা বেশ কয়েকজন শিশু অধিকার কর্মী এবং মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারদের কাছ থেকে তদন্তের আওতায় এসেছেন।
দেবাংশীর যাত্রার ওপর আলোকপাত করা ইন্সটাগ্রাম পেজটি তার খ্রীষ্টান সন্ন্যাসী হওয়ার খবর প্রকাশের আগেই সম্ভাব্য সমালোচনা সম্পর্কে সচেতন ছিল বলে মনে হয়। ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বরের একটি ভিডিওতে ইংরেজি ও হিন্দিতে বিভিন্ন উদ্বেগের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
ওই পেজের ভিডিওতে আরও দাবি করা হয়েছে, দেবাংশীর ওপর এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হয়নি, শিশুটি তার নিজের ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেবাংশীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যারা পরিচালনা করেন তাদের এই দাবির বিরোধিতা করে মুম্বাইয়ের একজন অধ্যাপক এবং শিশু সুরক্ষা পরামর্শদাতা নীলিমা মেহতা ব্যাখ্যা করেন, “আঠারো বছরের কম বয়সী শিশুর সম্মতি আইনে সম্মতি হিসেবে বিবেচিত হয় না।জ্ঞাত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য শিশু দেবাংশীর বয়স জ্ঞানগতভাবে বা মানসিকভাবে যথেষ্ট পরিপক্ক নয়।” তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।