News update
  • UN Warns Refugees Caught in Climate–Conflict Cycle     |     
  • Mohammadpur Sub-Jail in Magura lies abandoned     |     
  • BD trade unions demand 10-point climate action ahead of COP30     |     
  • Bangladesh criticises Rajnath remarks on Yunus     |     
  • ‘Very unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Sunday morning     |     

লাইসেন্স পেল ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’, চেয়ারম্যান হলেন কে?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যাঙ্কিং 2025-11-10, 11:24am

erewqr343241-a06e888b36a9d31d1ef449e5066155011762752270.jpg




পাঁচটি দুর্বল ব্যাংক একীভূত করে পরিচালনার জন্য শরিয়াহভিত্তিক নতুন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক 'সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক' প্রাথমিক লাইসেন্স পেয়েছে। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেককে।

রোববার (৯ নভেম্বর) গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ডের একটি বিশেষ অনলাইন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত ৫ নভেম্বর ব্যাংকটির জন্য প্রাথমিক সম্মতিপত্র (এলওআই) ও লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।

প্রস্তাবিত ব্যাংকের সাত সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। অন্য বোর্ড সদস্যদের মধ্যে রাখা হয়েছে অর্থ বিভাগের সচিব মো. খাইরুজ্জামান মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব এম সাইফুল্লাহ পন্না, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন ও যুগ্ম সচিব শেখ ফরিদকে।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর আর্থিকভাবে দুর্বল পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা করে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো-এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

কে কোন ব্যাংকের প্রশাসক হলেন

এক্সিম ব্যাংকের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শওকাতুল আলম। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সালাহ উদ্দিন। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক মো. মোকসুদুজ্জামান। ইউনিয়ন ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেক পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসেম।

প্রশাসক নিয়োগের বিষয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর বর্তমান আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পুঁজি ঘাটতি ও অনিয়মের কারণে এগুলো টেকসইভাবে পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে এই ব্যাংকগুলো চালানো হবে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না, গ্রাহকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে। একীভূত হলে প্রথমদিন থেকে বাজারভিত্তিক মুনাফা পাবেন গ্রাহকরা। এলসি ও রেমিট্যান্সের কার্যক্রম চলমান রাখবেন প্রশাসকরা। কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হবে না; তারা আগের মতোই বেতন-ভাতা পাবেন। সরকার পরিবর্তন হলেও ভয় নেই, এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরমধ্যে এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার স্বচ্ছতা আনতে বিশেষ অডিট শুরু করেছে। প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে একীভূতকরণ বা পুনর্গঠনের বিকল্প ব্যবস্থাও নেয়া হতে পারে। সম্পদ থেকে দায় বেশি থাকায় ব্যাংকগুলোর শেয়ার মূল্য শূন্য করা হয়েছে। এসআলমসহ যারা ব্যাংক খাত ধ্বংসে অপকর্ম করেছে তারা আর কখনো ফিরতে পারবে না।’

এদিকে, আর্থিকভাবে দুর্বল পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে একীভূত করার প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারধারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি আপাতত বিবেচনার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ক্ষুদ্র শেয়ারধারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।