News update
  • ‘Unhealthy’ air quality was recorded in Dhaka on Sunday     |     
  • What we know about one of Hadi's assassination attempters     |     
  • United States and Bangladesh Launch Money Laundering Bench Book     |     
  • 6 BD peacekeepers killed, 8 hurt in attack on Sudan UN Base     |     
  • Burglary at Hadi’s village home in Jhalokathi      |     

মালিকানা হস্তান্তরের ক্ষমতা পেলো সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যাঙ্কিং 2025-05-12, 12:10pm

img_20250512_121003-913a1dc94505f4adb3cf2089105a01a51747030219.jpg




কোনো দুর্বল ব্যাংক সাময়িক সময়ের জন্য সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মালিকানায় নেওয়া যাবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারি মালিকানাধীন কোনো কোম্পানিতে অন্য কোনো ব্যাংকের শেয়ার হস্তান্তরের আদেশ দিতে পারবে। এমনকি ব্যাংকের শেয়ার, সম্পদ ও দেনা তৃতীয় পক্ষের কাছেও হস্তান্তর করতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

এসব বিধান রেখে ‘ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ জারি করা হয়েছে।

এ আইনের মাধ্যমে দুর্বল ব্যাংক অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণ, তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি কিংবা নতুন শেয়ার ইস্যুসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। শুধু তাই নয়, কোনো ব্যাংক বন্ধ বা অবসায়নের উদ্যোগও নিতে পারবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।

নতুন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, এ রেজুলেশনের অন্যতম উদ্দেশ্য হবে দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় আস্থা ফেরানো, আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা এবং ব্যাংকের লেনদেন চলমান রাখা। এর মাধ্যমে অকার্যকর ব্যাংক যেন সুশৃঙ্খলভাবে চলতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংক রেজুলেশনের (নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে) কোন প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে ব্যাংকের কাছে সমস্যার সমাধান চেয়ে সর্বোচ্চ দুই মাস সময় দিয়ে সম্ভাব্য পদক্ষেপের প্রস্তাব নিতে হবে। ব্যাংকের পদক্ষেপ সন্তোষজনক না হলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবন্ধকতা দূর করার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেবে। যেখানে ব্যাংকের কার্যক্রম সীমিত করা, আন্তঃগ্রুপ সহায়তা চুক্তি, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সেবা চুক্তিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন আইনের আওতায় ইসলামী ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রেও রেজুলেশনের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো ব্যাংকের ব্যর্থতার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে দেওয়ানি বা ফৌজদারি আইনের মুখোমুখি করা যাবে বলেও অধ্যাদেশে বলা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল দুর্বল ব্যাংকের জন্য বিভিন্ন নিষ্পত্তির বিধান রেখে ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ। গত শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করে সরকার। ব্যাংক কোম্পানি আইনে দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সীমাবদ্ধতা থাকায় নতুন এ আইন করা হয়েছে যা বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এ ধরনের আইন আছে।

জারি করা অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো দুর্বল ব্যাংক নিষ্পত্তির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে আলাদা তহবিল গঠিত হবে। তহবিল সরকারের পাশাপাশি আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, আইডিবির মতো প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থায়ন বা ঋণ নিতে পারবে।

ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশের অধীনে কোনো দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থাপনার সব ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগ ও অন্যান্য দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। এসব কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংকে আলাদা একটি বিভাগ খুলতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপারভিশন বিভাগগুলো ব্যাংক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার হালনাগাদ তথ্য এ বিভাগে দেবে।

নিয়মিতভাবে দেওয়া এসব তথ্যের ভিত্তিতে দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা পেশ করবে ওই বিভাগ। খারাপ অবস্থায় পড়া ব্যাংকের জন্য প্রণীত আশু সংশোধনমূলক ব্যবস্থা (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় পরিকল্পনা হাতে নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের অবসায়ন সম্ভাব্যতা, আর্থিক ও পরিচালন প্রক্রিয়ার নিরবচ্ছিন্নতা বজায় রাখাসহ বিভিন্ন বিষয় দেখবে বিভাগ। তবে ব্যাংকের ব্যবসা বা আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিকল্পনা পরিবর্তন করবে।

আরটিভি