News update
  • CEC Vows Credible Election to End Stigma     |     
  • High-level meeting reviews country’s economic progress     |     
  • Dhaka suspends visa, consular services at its Delhi, Agartala Missions     |     
  • Govt to cut savings certificate profit rates from January     |     
  • Gold prices hit fresh record in Bangladesh within 24 hours     |     

বিশ্ববাজারে রেকর্ড উচ্চতা থেকে স্বর্ণের দামে বড় পতন

ট্রাম্পের শুল্কারোপ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2025-04-04, 9:08am

rretrter-82eb695bf9cb1548bbc778514076eb971743736133.jpg




নতুন করে পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

বুধবার (২ এপ্রিল) ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তিনি।

এই ঘোষণার পর  বিশ্ববাজারে সোনার দরপতন ঘটেছে। একদিনেই প্রতি আউন্স সোনার দাম ৭০ ডলারের ওপরে কমে গেছে।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসার আগে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩ হাজার ৩৭ ডলার থেকে বেড়ে ৩ হাজার ১৬২ দশমিক ৬০ ডলারে ওঠে। 

বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি দেশের বাজারেও কয়েক দফায় দাম বাড়ানো হয়। এতে বর্তমানে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা। দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় ২৯ মার্চ।

সোনার দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করা বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৭৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭০৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪৫৮ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২৯ হাজার ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২৩৬ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৯ টাকা। বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

দেশের বাজারে যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ৩ হাজার ৮০ ডলার। সেখান থেকে প্রায় ১০০ ডলার বেড়ে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৩ হাজার ১৬২ ডলারে উঠলেও ঈদের ছুটি থাকায় গত কয়েকদিনে দেশের বাজারে সোনার দামে পরিবর্তন আনেনি বাজুস।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হয়েছে। চীনের পণ্য আমদানির ওপর ৩৪ শতাংশ, বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ, জাপানের ওপর ২৪ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসনের তালিকায় ছিল অস্ট্রেলিয়ার অধীনে থাকা হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপ। এই দ্বীপগুলো ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এবং সেখানে পেঙ্গুইন ছাড়া কোনো মানুষ বসবাস করে না।

তবে এবার রাশিয়া, কানাডা, মেক্সিকো, উত্তর কোরিয়া কিংবা কিউবার নাম নেই। 

প্রতিবেশী দুই দেশ কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর আগেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার জ্বালানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির (ইউএসএমসিএ) আওতায় যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে, সেগুলো এখনো নতুন শুল্কের আওতামুক্ত রয়েছে। তবে গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং অন্যান্য পণ্যের ওপর আজ বৃহস্পতিবার থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশোধমূলক শুল্ক দুটি ধাপে কার্যকর হবে। প্রথম ধাপে, ন্যূনতম শুল্ক (১০ শতাংশ) আগামী ৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। দ্বিতীয় ধাপে, উচ্চতর শুল্ক (যেমন বাংলাদেশের জন্য ৩৭ শতাংশ) ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।আরটিভি