News update
  • Rivers Keep Swallowing Land as Bangladesh Battles Erosion     |     
  • UN Warns Refugees Caught in Climate–Conflict Cycle     |     
  • Mohammadpur Sub-Jail in Magura lies abandoned     |     
  • BD trade unions demand 10-point climate action ahead of COP30     |     
  • Bangladesh criticises Rajnath remarks on Yunus     |     

রক্তাক্ত ঢাবি, যা বললেন আয়মান সাদিক

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2024-07-16, 12:19am

img_20240716_001910-14897419fed802314e86010e24e92f671721067590.jpg




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের অনেককে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে প্রতিবাদ জানিয়েছেন টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আয়মান সাদিক।

পোস্টে তিনি লেখেন, রক্তাক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন? প্রতিবাদ জানাই।

গত দুই সপ্তাহ ধরে কোটা সংস্কারের দাবিতে টানা আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এটি নতুন মোড় নেয় গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের রাজাকার বলেছেন এমন অভিযোগ তুলে গভীর রাতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাতে হল ছেড়ে বাইরে বের হয়ে বিক্ষোভ করেন।

দিবাগত রাত চারটার দিকে সমন্বয়কদের একজন প্রধানমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে সোমবার দুপুরে বিক্ষোভ করবেন বলে ঘোষণা দেন। কেন্দ্রীয়ভাবে তা ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে হওয়ার কথা জানানো হয়। এদিকে বিকেলে একই স্থানে বিক্ষোভের ডাক দেয় ছাত্রলীগ। ফলে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করে। দুপুরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয় এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামেন।

টাকা কয়েক দিন আন্দোলনের পর গত ৯ জুলাই কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। পরের দিন হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল আছে। আরটিভি।