News update
  • CPJ, global media leaders for unrestricted access to Gaza     |     
  • Eid trip turns into ordeal on crater-ridden Faridpur Highway     |     
  • Pilgrims stone devil as Hajj ends under heat, tight watch     |     
  • SACEP propels South Asia's fight against plastic pollution     |     
  • UN chief urges world leaders to save two-State solution     |     

কলাপাড়ায় এখনও পানিবন্দি হাজার হাজার পরিবার

শুধু মৎস্য খাতে ক্ষতি ৪ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা

বিপর্যয় 2025-06-01, 8:51pm

img-20250601-wa0030-01-15211b44940928e1a04ec997045ed7ef1748789480.jpeg

A marooned woman has taken shelter on a temporary platform in Kalapara.



  পটুয়াখালী: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্ন চাপ কেটে গেলেও এর প্রভাবে আজও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপকূলে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। নিম্নচাপের সাথে অমাবস্যার জো' যুক্ত হওয়ার ফলে অতি বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাসে মৎস্য ও কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গেছে। উপকূলের দু'এক জায়গায় নতুন করে রিং বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পড়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৬৪৮০ টি পরিবার। এছাড়া ৪৬০ টি কাঁচা পাকা ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, উপজেলা প্রশাসন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাস ও অতিবর্ষণে উপকূলের বেড়িবাঁধের বাইরের ১১৬৯টি পুকুর ও ৪৯০টি ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে মৎস্য চাষীদের কার্প জাতীয় মাছ সহ চিংড়ি, কোড়াল, বাগদা চিংড়ি পানিতে ভেসে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আরাফাত হোসেন জানান, উপজেলার ৮০ হেক্টর রোপা আউশ বীজ তলার শতকরা সাত ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৮০ হেক্টর রোপা আউশের শতকরা দুই ভাগ, ৫০ হেক্টর বোনা আউশের শতকরা চার ভাগ এবং ৩৭০ হেক্টর শাকসবজি ক্ষেতের শতকরা ৩৫ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষক যাতে দ্রুত এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে এজন্য কৃষককে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও কৃষি উপকরণ সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. িশওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, মুন্সিপাড়া রিং বেড়িবাঁধ ভেঙে ছোট ৫ নং, বড় পাঁচ নং, চর চান্দু পাড়া, চান্দু পাড়া, কলাউপাড়া হাসনাপাড়া মঞ্জু পাড়া গ্রাম দুই দিন ২-৩ ফুট পানিতে নিমজ্জিত  ছিল। আজ কিছুটা পানি নেমে গেলেও অধিকাংশ পরিবারের রান্নার চুলা এখনো জ্বলেনি। এছাড়া বেড়িবাঁধের বাইরের মাঝের হাওলা, গোলবুনিয়া, চিংগুরিয়া, মেরাউপাড়া, মহল্লাপাড়া হাচনাপাড়া গ্রামের অবস্থা এখনও ভয়াবহ। 

উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মনিরুল হক, এলজিইডি প্রকৌশলী মো. সাদিক জানান, বন বিভাগের গাছপালার তেমন ক্ষতি হয়নি। দু'চারটি গাছ উপড়ে পড়েছে। তবে তা রিপোর্ট করার মতো নয়। এবং এলজিইডি'র সড়ক গুলোর তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। 

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, কলাপাড়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি, রাঙ্গাবালীতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কলাপাড়ার চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর ৫৪/বি বোল্ডারের দেড় কিলোমিটার বেরিবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়রা বাঁধ নির্মাণের জন্য জায়গা না দেয়ায় এটি নির্মাণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ধানখালী ইউনিয়নের একই পোল্ডারের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চলছে। 

কলাপাড়া দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. মোকছেদুল আলম বলেন, কলাপাড়ায় ৪৬০ টি ঘর আর শিক্ষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৬৪৮০ টি পরিবার। গত দু'দিন উপজেলার দুর্গত এলাকা ঘুরে ১২০০ পরিবারকে ত্রান সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কলাপাড়া ও কুয়াকাটা পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আরও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। য পাওয়া মাত্রই বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হবে।

কলাপাড়া ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সমুদ্র উপকূলবর্তী এ উপজেলার মৎস্য, কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দুর্গত মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। কলাপাড়া পৌরসভার দুর্গত মানুষের জন্য আরও ৫ মে. টন চাল ও কুয়াকাটা পৌরসভার দুর্গত মানুষের জন্য ৪ মে. টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা আজ কালের মধ্যে বিতরণ করা হবে। ইউএনও আরও বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও জিআর চাল ও জিআর নগদ অর্থ বরাদ্দের চাহিদা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার দুর্গত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে। - গোফরান পলাশ