News update
  • 30 injured, bogies derailed as two trains collide in Gazipur     |     
  • 20 killed in mountain bus accident in Pakistan     |     
  • 70% of envir journalists report attacks, threats, pressure: UN     |     
  • Dhaka air ‘unhealthy’ Friday morning     |     
  • Arakan Army frees 12 Bangladeshi fishermen     |     

গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চীন থেকে পিছিয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র: বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2022-09-18, 8:15am

5af9736e-42b8-4751-8f1b-51be1adcdf2d_w408_r1_s-4593538bf06dae985cff5944cfbfc45b1663467353.jpg




ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা এবং বেসরকারি খাতের নির্বাহীদের এক সমাবেশ হয়। সমাবেশে কিছু বিষয় নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা গেছে। উদ্বেগের বিষয় হলো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এমন বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় যে, তারা এমন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে অত্যাধুনিক যোগাযোগ ও কম্পিউটার প্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।

সমাবেশটির আয়োজন করে দ্য স্পেশাল কম্পিটিটিভ স্টাডিজ প্রজেক্ট (এসসিএসপি)। এসসিএসপি উদ্যোগটির মূলে রয়েছেন গুগলের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক শ্মিড। উদ্যোগটির বর্ণিত উদ্দেশ্য হল “ এমন একটি আমেরিকা বিনির্মাণ, যার অবস্থান ও সংগঠনরূপ এমন, যা এখন থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে চলমান প্রযুক্তি-অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার সামর্থ রাখে। এই সময়টি হলো ভবিষ্যত নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্ব।”

সমাবেশে যোগদানকারীদের মধ্যে এমন মনোভাব দেখা গেছে যে, প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের জয়ী হবার সক্ষমতা আসলেই হুমকির মধ্যে রয়েছে।

ভয়ঙ্কর পূর্বাভাস

চীন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পর্যায়ে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে চলে আসলে কী হবে, সে বিষয়গুলোর পূর্বাভাস দিয়ে সম্মেলনের কয়দিন আগে এসসিএসপি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, “কী হবে সেটি বুঝতে হলে এমন এক বিশ্ব কল্পনা করতে হবে, যেখানে একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র ডিজিটাল অবকাঠামো নিয়ন্ত্রণ করে। রাষ্ট্রটি বিশ্বের প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলোতে একটি আধিপত্যমূলক অবস্থানে রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি উৎপাদনের মাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। আর, বায়োটেক ও শক্তি সংক্রান্ত নতুন প্রযুক্তির মত সাধারণ কাজে ব্যবহৃত অনেকগুলো নতুন প্রযুক্তি অর্জন করেছে। যা তারা সমাজ, অর্থনীতি ও সামরিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন সাধনে ব্যবহার করবে।”

প্রতিবেদনে এমন এক ভবিষ্যতের কথা কল্পনা করা হয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বদলে চীন নতুন প্রযুক্তিগত অগ্রগতি থেকে হওয়া লক্ষ কোটি ডলার আয় করছে এবং তাদের এই সুবিধাজনক অবস্থানকে এমন ধারণা প্রতিষ্ঠায় ব্যবহার করে যে, গণতন্ত্র নয় বরং স্বৈরতন্ত্রই হল উৎকৃষ্ট সরকারব্যবস্থা। প্রতিবেদনের এই নৈরাশ্যজন চিত্র , চীন একটি “সার্বভৌম” ইন্টারনেট ব্যবস্থার ধারণাকে প্রচার করে। যেখানে প্রতিটি দেশ তাদের নাগরিকদের কাছে তথ্যের প্রবাহ সীমাবদ্ধ করে। আর, চীন এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং সম্ভবত নিয়ন্ত্রণ করে, যে প্রযুক্তি পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোকে সচল রাখার জন্য প্রয়োজন। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।