News update
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     
  • EU deploys election observation mission to Bangladesh     |     

দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েও অভিষেক রাঙাতে পারলেন না হামজা

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

ফুটবল 2025-03-26, 7:54am

rtretwr-7a8fbe5c2a6bc384a2eaa26b90168a881742954073.jpg




হামজার অন্তর্ভুক্তিতে বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে দেশের ১৮ কোটি মানুষ। তার অভিষেক ম্যাচে ভারতকে হারাবে বাংলাদেশ, এমনটাই ভেবেছিল তার ভক্তরা। আর তাদের ইচ্ছা পূরণে নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছেন হামজা। কিন্তু দলের বাকিরা ছিলেন এলোমেলো। 

একাধিক সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি রাকিব-মোরসালিনরা। মাঝ মাঠের পাশাপাশি রক্ষণভাগেও অবদান রেখেছে হামজা। তাই কোনো গোল হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে। তাই শেষ পর্যন্ত গোল শূন্য থেকে মাঠ ছেড়েছে দুই দল। তাই হামজার অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি এক পয়েন্ট।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) কিক অফ শুরুর পরই গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এক মিনিটের মাথায় ভুল করে বল বাংলাদেশের মিডফিল্ডার জনির কাছে দিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের গোলকিপার ভিশাল কাইথ। পোস্ট খালি পেয়েও নেটের পাশে শট মেরেছেন জনি। 

৯ মিনিটের মাথায় আরও একটি সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরা। ডান প্রান্ত মোরসালিনের ক্রস পেয়েছিলেন বক্সে দাঁড়ানো শাহরিয়ার ইমন। তার হেড ভারতের পোস্টের পাশ ঘেঁষে লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হয়। পরের মিনিটেও গোলের ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ।

হামজার কর্নার থেকে বল ভারতের গোলকিপারের হাতে। কর্নারের পরই ভারতের গোলকিপার ভিশাল কিক নিতে যাওয়ার সময় বল তপুর পেছনে লেগে বাঁ প্রান্তে চলে যায়। ফাঁকা পোস্ট সামনে রেখে বল পেয়ে যান হৃদয়। সামনে ভারতের ডিফেন্ডার শুভাশীষ এলেও বাঁ-পায়ের শটে বল তার পায়ে মারেন হৃদয়। 

এতে অবিশ্বাস্য সুযোগ নষ্ট বাংলাদেশের। ১৭ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে থ্রু দিয়েছিলেন হামজা। জনি সুযোগের স্বদ্যবহার করতে পারেননি। ক্রস করলেও বক্সে থাকা খেলোয়াড় বল ধরতে পারেননি। পরের মিনিটেই এসেছিল দারুণ এক সুযোগ। 

বাঁ-প্রান্ত থেকে মোরসালিনের ক্রস বক্সের ভেতরে পড়েছিল। ইমন একদম আনমার্কড ছিলেন। শূন্যে লাফিয়ে বলটা মাথায় ঠিকমতো নিতে পারলেই গোল! কিন্তু হেডটি ঠিকমতো করতে পারেননি ইমন। এরপরই পায়ে আঘাত পেয়ে মাঠে ছাড়েন অধিনায়ক তপু বর্মণ। ২১তম মিনিটে নির্ভরতার প্রতীক তপুর বদলি হিসেবে নেমেছেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া।

২৭তম মিনিটে প্রথম শট নেয় ভারত। ভারতের ফরোয়ার্ড ফারুক ক্রস ফেলেছিলেন বাংলাদেশের বক্সে। মিডফিল্ডার লিস্টন কোলাসো বক্সে ভলি করলেও শটে জোর না থাকায় সহজেই তালুবদ্ধ করেন মিতুল মারকা। ৩১ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে আসা ক্রসে হেড করেছিলেন ভারতের স্ট্রাইকার উদান্ত। বল মিতুল ঠেকানোর পর ফিরতি বলে শট নেন ফারুক। মিতুল এবারও বলটি ঠেকান।

৪১ মিনিটেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি সফরকারী। ভারতের এক ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিলেন জনি। সামনে ছিলেন শুধুই ভারতের গোলকিপার ভিশাল। কিন্তু জনি এ যাত্রায়ও শট নিতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত গোল শূন্য থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তবে ৪৭ মিনিটে ডিফেন্সিভ ম্যাজিক দেখান হামজা। বাঁ উইং চিরে বল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছিলেন ভারতের লিষ্টন। বেশ দূর থেকে দৌড়ে এসে তাঁকে ট্যাকল করেন হামজা। লিস্টন দৌড়ে ভেতরে ঢুকলে বিপদ হতে পারত বাংলাদেশের।

৫৫ মিনিটে বাঁ প্রান্ত চিরে আবারও দৌড় শুরু করেছিলেন ভারতের মিডফিল্ডার লিস্টন। জনি পেছন থেকে গিয়ে বল দখলে নিয়েও রাখতে পারেননি। লিস্টনের চ্যালেঞ্জের সামনে তাঁকে দুর্বল লেগেছে। লিস্টন বক্সে ক্রস করার পর সুনীল ছেত্রী লাফালেও হেডে বল পাননি।

৭০ মিনিটে মাঝমাঠে আপুয়িয়াকে অবৈধ চ্যালেঞ্জে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখলেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার হৃদয়। ধীর গতি চলতে থাকে ম্যাচ। তাই ৭৮ মিনিটে মোরসালিন ও হৃদয়কে তুলে দুই মিডফিল্ডার মোহাম্মদ সোহেল ও সোহেল রানাকে মাঠে নামান বাংলাদেশের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।

পরিবর্তন আনে ভারতও। ৮৫ মিনিটে ডিফেন্ডার শুভাশীষ ও স্ট্রাইকার ছেত্রীকে তুলে ইরফান ও আশিককে মাঠে নামিয়েছে ভারত। ইরফান ফরোয়ার্ড ও আশিক মিডফিল্ডার। ৮৪ মিনিটে বক্সে হেড থেকে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ছেত্রী।

দ্বিতীয়ার্ধের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হলে অতিরিক্ত সময় পায় ৫ মিনিট। চতুর্থ মিনিটের শেষ দিকে বক্সের বাঁ দিকে বল পেয়ে পোস্টের বাইরে উড়িয়ে মারেন রাকিব। শেষ সুযোগটাও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।আরটিভি