
Guardians taking examinations of students in the absence of Kalapara teachers who are on strike for pay hike.
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রাথমিকের শিক্ষকদের পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি সফল হতে দেননি অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও'র সহায়তায় বন্ধ পরীক্ষা কক্ষের তালা ভেঙ্গে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা নেন সংক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। এসময় অনেক অভিভাবক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শিক্ষকদের তিন দফা আন্দোলনে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর আগে বুধবার রাতে কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের গেটে শিক্ষকরা তালা ঝুলিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষা দিতে এসে শত শত শিক্ষার্থী আটকা পড়ে। এতে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে তালা ভেঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ করান এবং পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করেন। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এলেও আসেননি সহকারী শিক্ষকরা।
সূত্র জানায়, উপজেলার ১৭১ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা গত চার দিন ধরে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ না করে কর্ম বিরতি পালন করছেন।
অভিভাবক নাসির উদ্দিন রতন বলেন, সারা বছর শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করেছে। এখন বার্ষিক পরীক্ষা দিতে এসে বাচ্চারা স্কুলে প্রবেশ করতে পারছে না। এভাবে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শিক্ষকদের এ কেমন আন্দোলন?
অভিভাবক সৈয়দ রাসেল বলেন, শিশু শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। মাত্র দু'জন শিক্ষার্থী অসুস্থতা জনিত কারণে পরীক্ষা দিতে আসেনি। এতে সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে।
কলাপাড়া মঙ্গলসুখ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোসা. শিউলি বেগম বলেন, তার বিদ্যালয়ে ৭০২ জন পরীক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের দপ্তরি ও অভিভাবকদের নিয়ে প্রশাসনের সহায়তায় পরীক্ষা নিতে হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়েছি বিভিন্ন বিদ্যালয়ের গেটে সহকারী শিক্ষকরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে আজ সকাল থেকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে তালা ভেঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করেছি। শিশু শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলনের নামে যারা এই কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। - গোফরান পলাশ