News update
  • Chief Adviser Dr Yunus pays homage to martyred intellectuals     |     
  • Martyred Intellectuals Day: A Nation’s Loss and Resolve     |     
  • EC seeks enhanced security for CEC, ECs, election officials     |     
  • Humanoid robots take center stage at Silicon Valley summit, but skepticism remains     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality was recorded in Dhaka on Sunday     |     

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় মেধাবীদের ভরাডুবি কেন?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পরীক্ষা 2025-05-07, 8:57pm

56346436346-f9ccdbbdd34a1120865fc9e728ce85f21746629856.jpg




এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী। ভর্তির সুযোগ পাওয়া তো দূরের কথা ন্যূনতম পাসের নম্বরও তুলতে পারেনি মানবিক ও বিজ্ঞান ইউনিটের ৯০ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অটোপাস ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ফলাফলকেন্দ্রিক পড়াশোনার কারণে জিপিএ-৫ পেলেও প্রতিযোগিতায় ছিটকে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। আর যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের পাশাপাশি সমস্যা উত্তরণের উপায় খুঁজছে বোর্ড।

২০০১ সালে এসএসসি আর ২০০৩ এইচএসসি পরীক্ষায় চালু হয় জিপিএ পদ্ধতি। প্রথম বছর সারাদেশে মাত্র ৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। তবে সবশেষ এসএসসির ফলাফলে সর্বোচ্চ এই গ্রেড অর্জন করেছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। দুই দশকের ব্যবধানে জিপিএ-৫'র এমন ছড়াছড়ি খুশির সংবাদ হলেও কতটুকু বেড়েছে শিক্ষার মান তা নিয়ে আছে আলোচনা-সমালোচনা।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা কতটুকু যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে পারছেন? এই প্রশ্নের খুঁজতে গেলে সামনে আসছে বেশ কিছু হতাশাব্যঞ্জক উত্তর।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ইউনিটে ভর্তির জন্য মোট তিন লাখ দুই হাজার ৬০৬ শিক্ষার্থী আবেদন করেন। বিজ্ঞান ইউনিট এবং কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৫ পাওয়া ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ২১ হাজার জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। আর উভয় ইউনিটে ফেলের হার ৯০ শতাংশের বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত সরকারের সময়ে শিক্ষার মানের তুলনায় ফলাফলকে গুরুত্ব দেয়া, উত্তরপত্র মূল্যায়নে শিথিলতা দেখানো ও নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার প্রবণতার ফলে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করেও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ছিটকে পড়ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, এবার ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর মূল কারণ করোনার সময়ে অটোপাস ও শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা। এর প্রভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষণ ঘাটতি রয়েছে।

আর চলতি বছর থেকে নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বাড়ানোর প্রবণতা থেকে সরে এসে প্রকৃত মাপকাঠিতে দক্ষতা নির্ণয়ের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবীর বলেন, নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বাড়ানোর প্রবণতা থেকে সরে আসতে হবে। না হলে শিক্ষার যথার্থ মূল্যায়ন হবে না।

ফলাফলের পাশাপাশি শিক্ষার মান, শিক্ষার্থীর কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করতে যুগোপযোগী কারিকুলাম ও বাস্তবসম্মত মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রবর্তনের পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।