News update
  • No Foreign Voluntary Org can buy land sans prior govt nod     |     
  • Probe committee to investigate BAF fighter jet crash in Ctg     |     
  • Upazila Polls saw 36% voter turnout: Commissioner Alamgir     |     
  • “Everyone with a TIN certificate should be under tax net”     |     
  • “Kwatra’s visit is expected to further strengthen bilateral ties”     |     

ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ধর্মমন্ত্রী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ধর্মবিশ্বাস 2024-04-27, 6:12pm

img_20240427_181315-f68945eff13c3b36e75259e9300a9ba61714220018.jpg




বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র চেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা, যেখানে আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। প্রতিষ্ঠিত হবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার। এরূপ অভিপ্রায় থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধিকার আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ময়মনসিংহের টাউন তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় সমাজ গঠনে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজে সকল ধর্মের মানুষের কাছেই তাদের নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে, সম্মান করে। বিভিন্ন পরামর্শের জন্য তাদের দারস্থ হন। তাদের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলেন। এই শ্রেণির মানুষগুলোকে আমরা যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে যদি তাদেরকে আরেকটু শানিত বা দক্ষ করে তুলতে পারি তাহলে দেশ ও জাতি অনেক বেশি উপকৃত হতে পারে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশে ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাই পারেন আপনাদের কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি তাদেরকে আদর্শ ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। আমাদের সমাজে যেসব সামাজিক ব্যাধি রয়েছে বিশেষ করে ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল, মজুতদারির মতো ব্যাধি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোহিত ও সেবাইতদেরকে আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে, অন্যদিকে সামাজিক সমতার ক্ষেত্রেও উন্নতি ঘটবে। এছাড়া যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রেমের বিকাশ ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব হলে দেশ ও জনগণের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হবে। জাতীয়তা ও ভ্রাতৃত্ববোধ দৃঢ় ও অটুট হবে। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বেগবান হবে।

সম্মেলনে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, রেঞ্জ ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর শিখা চক্রবর্তী, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ইঞ্জিনিয়ার রতন কুমার, অঙ্কন কর্মকার, উত্তম চক্রবর্তী রকেট, পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিকাশ রায় প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)-এর অধীনে এ সম্মেলনে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাতটি জেলার পুরোহিত ও সেবাইতরা অংশ নেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরোহিত ও সেবাইত প্রশিক্ষণ দারিদ্র্য বিমোচনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করবে। প্রশিক্ষণ নিয়ে পুরোহিত ও সেবাইতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দেশের বেকার যুবক-যুবতীরা এখানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া পুরোহিত ও সেবাইতরা ভাতাপ্রাপ্তির মাধ্যমে তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন। ফলে দারিদ্র্য বিমোচনে প্রকল্পটি সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলেও জানান আয়োজকরা। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।