
Death og a Bkash worker in a road accident in Kalapara on Thursday.
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ট্রলির সঙ্গে ধাক্কায় রবিউল মোল্লা (২৬) নামের এক বিক্যাশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর পাদদেশে এ দূর্ঘটনা ঘটে। মৃত রবিউল লালুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের আপাং মোল্লার ছেলে। তিনি কলাপাড়া বিক্যাশ শাখার ধানখালী ইউনিয়নের মাঠ কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো কর্মস্থল থেকে নিজ মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন রবিউল। এসময় টিয়াখালী অংশের ওই সেতুর পাদদেশে পৌঁছলে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে অন্ধকারে থামিয়ে রাখা একটি ট্রলিতে সজরে ধাক্কা লাগে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষনিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা কাদের হাওলাদার বলেন, “আগে রাস্তা ভালোই ছিল। এখন আধা ইঞ্চি ঢালাই দিয়ে কাজ করছে। এমন মানহীন রাস্তা আমরা চাই না। ঠিকভাবে করতে পারলে করুক, না পারলে কাজ বন্ধ করুক।"
জেলে রাজিব বলেন, এই বেড়িবাঁধ জলোচ্ছ্বাস থেকে আমাদের বাঁচায়। এখানে অনিয়ম হলে আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকবে না।
পর্যটকরাও সড়কের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঢাকা থেকে আগত পর্যটক আসিব মাহমুদ বলেন, লোকজন হাত দিয়ে কার্পেট তুলে দেখাচ্ছিলেন। দাঁড়িয়ে দেখি কাজের মান খুবই খারাপ। পর্যটন এলাকাতে এমন অনিয়ম দুঃখজনক।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মো, জসিম মৃধা দাবি করেন, এখানে ৪০ মিলি কার্পেটিং দরকার ছিল, কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়েছে ২৫ মিলি। এতে বিপাকে পড়েছি। আশপাশে মিষ্টি পানির ব্যবস্থাও নেই। বরাদ্দে ড্রেজিংয়ের বালু থাকলেও ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে বালু এনে কাজ করতে হচ্ছে। তারপরও আমরা ওয়ার্ক অর্ডার অনুযায়ী কাজ করছি।
এ বিষয়ে এলজিইডির পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হোসাইন আলী মীর বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। ঠিকাদারকে নিয়ম মেনে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কাজ না হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। - - গোফরান পলাশ