News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যুর মাঝে আফগানিস্তানে আবারও ভূমিকম্পের আঘাত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক দূর্ঘটনা 2025-09-02, 11:12pm

8223766762885837cde96a0851ce76d8a2dc04884ddbb432-516824f401e6587a6de970c1a1b925721756833127.jpg




ভূমিকম্পে ১৪০০ জনের বেশি নিহত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানে আবারও ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে ৫ দশমিক ২ মাত্রার একটি নতুন ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫৯ মিনিটে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে ৫ দশমিক ২ মাত্রার নতুন ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জালালাবাদ থেকে ৩৪ কিলোমিটার (প্রায় ২১ মাইল) উত্তর-পূর্বে। এটি ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮ কিলোমিটার গভীরে।

এই ভূমিকম্পের ফলে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৪  বলে জানিয়েছে।

এর আগে রোববার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কুনার প্রদেশে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। ওই  ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৪১১ জনে পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১২৪ জন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক এক্স বার্তায় জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ হাজার ১২৪ জন। ৫ হাজার ৪০০ টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

দাতব্য সংস্থা ইসলামিক রিলিফ-এর প্রধান ইব্রাহিম আহমেদ আল জাজিরাকে বলেছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের পৌঁছানো খুবই কঠিন।

তিনি বলেন, দাতব্য সংস্থা কুনার ও নানগারহারে কাজ করছে, তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পৌঁছানো কঠিন, এবং সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়ার জন্য স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের উপর নির্ভর করছে।

ভূমিকম্পের পর তিনদিন পরও এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে, তবে ধীর গতিতে। রাস্তা ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ায় প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

এই কর্মকর্তা জানান, পাহাড়ি অঞ্চল এবং অবকাঠামোর অভাব উদ্ধারকারী দলগুলোর প্রধান চ্যালেঞ্জ। তার কথায়, ‘এই পরিস্থিতির আগেও কিছু এলাকায় আমরা কেবল পায়ে হেঁটেই পৌঁছাতে পারতাম। বন্যা, সমস্ত গ্রাম ধসে পড়া, ভূমিধসের কারণে আমরা এখন গাড়ি বা অন্য কোনো উপায় ব্যবহার করতে পারছি না।’