News update
  • 5 killed when bus plunged in Laxmipur canal     |     
  • Dhaka loses $1.48 bn annually in remittance outflows: NALA     |     
  • 2 killed as bus hits CNG near Hanif Flyover, Jatrabari     |     
  • Fourth-Generation Nuclear Survivor Urges Global Justice     |     
  • Coast Guard project revised to fill facility, logistics gaps     |     

নুরুল হকের মরদেহে অগ্নিসংযোগ জঘন্যতম অপরাধ: প্রেস উইং

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-09-05, 8:53pm

383baf74fc7036f43c49e49b16619e2e58a7b08be568ff9e-4d109232f52c98d353bc3ca61ec5743b1757084027.jpg




রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে ‘নুরা পাগলার’ মরদেহ তুলে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ দাবি করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে বলা হয়, গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরা পাগলার কবর অবমাননা ও মরদেহে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

একে অমানবিক ও জঘন্যতম অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে সরকার বলেছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের মূল্যবোধ, আইন এবং সভ্য সমাজব্যবস্থার প্রতি সরাসরি আঘাত।

সরকার জানিয়েছে, এ ধরনের বর্বরতা কোনো অবস্থায়ই সহ্য করা হবে না। জীবিত ও মৃত–সবার মর্যাদা রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দায়মুক্তি পাবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে তারা শাস্তি থেকে রেহাই না পায়।

ঘৃণা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে মর্যাদা, ন্যায় ও মানবিকতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে হবে সরকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানায়।

এর আগে দুপুরে জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়ায় এলাকায় নিজেকে ‘ইমাম মাহাদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলার’ মরদেহ তুলে নিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে তৌহিদি জনতা।

এ ছাড়া দরবার শরিফ ও বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দরবারের ভক্তসহ ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

জানা যায়, সম্প্রতি মারা যাওয়া নুরুল হকের কবর মাটি থেকে কিছুটা উপরে দাফন করে সেখানে কাবা শরিফের আদল দেয়া হয়। এ নিয়ে তৌহিদি জনতার মধ্যে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। স্থানীয় প্রশাসন দু’পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিল। তার মধ্যেই জুমার নামাজের পর পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন স্থান থেকে আসা তৌহিদি জনতা দরবার শরিফে হামলা ও নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।