News update
  • Bangladesh criticises Rajnath remarks on Yunus     |     
  • ‘Very unhealthy’ air quality recorded in Dhaka Sunday morning     |     
  • Harassment, corruption shade Begum Rokeya University, Rangpur     |     
  • Sikaiana Islanders Face Rising Seas and Uncertain Future     |     
  • BD Election Commission to begin political dialogue this week     |     

স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-04-23, 8:01pm




স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস ও সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে এক সেমিনার থেকে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে।

আজ শনিবার ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘টোব্যাকো প্রাইস এন্ড ট্যাক্স’ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এই প্রস্তাব দেন।

রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উপ পরিচালক মোখলেছুর রহমান, সিটিএফকে গ্র্যান্টস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী।

বক্তারা বলেন, নিম্নস্তরের সিগারেট সমগ্র সিগারেট শিল্পের ৭৫ শতাংশ জায়গা দখল করে থাকলেও গত ২ বছর ধরে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে এই স্তরের ধুমপায়ীর সংখ্যা কমছে না। জাতীয় মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতিকে বিবেচনায় নিয়ে সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন বলে তারা মত দেন। পাশাপাশি তারা এও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই।

উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী মূল প্রবন্ধে বলেন, সিগারেটের বর্তমান শুল্ক কাঠামো বেশ জটিল। এটিকে আরও সহজ করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি প্রতি দশ শলাকার নিন্ম স্তরের সিগারেটের দাম ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা, মধ্য স্তরের সিগারের প্রতি প্যাকেট ৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি উচ্চ স্তরের সিগারেটের প্রতি প্যাকেটের দামও সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, এ প্রস্তাব কার্যকর করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় হবে। পাশাপাশি ধুমপায়ী কমবে ১৩ লাখ এবং ৯ লাখ তরুণ ধুমপান করতে নিরুৎসাহিত হবে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উপ পরিচালক মোখলেছুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সরকার ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যে কর বাড়ানোর বিকল্প নেই।

সিটিএফকে গ্র্যান্টস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণে তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরি। এতে দারিদ্র বিমোচন যেমন হবে তেমনি তামাকজনিত রোগের পেছনে সরকারের ব্যয় কমে আসবে।

ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম বলেন, ধুমপান কমাতে হলে সিগারেটের দাম বিশেষ করে নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়াতে হবে। কেননা ৭৫ শতাংশ সিগারেট ধুমপায়ী নিন্মস্তরের সিগারেট ব্যবহার করে। তথ্য সূত্র: বাসস।