News update
  • 16 people killed in Israeli air strikes in Rafah     |     
  • Team assigned to check at night if fire reappears in Sundarbans     |     
  • OIC calls Member States: Redouble efforts to stop genocide in Palestine     |     
  • Decision to increase age limit for govt jobs up to PM : Minister     |     
  • BNP urges voters to boycott upazila polls     |     

ভিয়েতনামে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ভাষণ দিবস উদ্যাপন

স্টাফ রিপোর্টার খবর 2022-03-07, 3:34pm

hh-5e36941b3d856737e81516acd45edc501646645684.jpg




জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ-ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টার”-এর “বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য” -কে স্মরণ করে বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয়, ভিয়েতনাম ৭ই মার্চ (সোমবার) যথাযোগ্য মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করে। জাতীয় সংগীত সহকারে এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণীপাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, আলোচনা এবং ডকুমেন্টারী প্রদর্শনীর আয়োজনকরা হয়।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ দূতাবাস বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ-কে ভিয়েতনামের সরকার ও জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ভিয়েতনামী ভাষায় অনুবাদ করে একটি বই প্রকাশ করে। এদিন-কে স্মরণ করে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্দোগে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ভাষণের ভিয়েতনামী অনুবাদের কপি ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, প্রধানমন্ত্রীর অফিসসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ডিপ্লোমেটিক একাডেমীসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হয়।

ভিয়েতনামে কোভিড-১৯ মহামারীর মহা-সতর্কতার জন্য এবংজনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দিবসটি স্বল্প সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গের উপস্থিতিতে দূতাবাসে উদ্যাপন করা হয়। 

ঐতিহাসিক ০৭ই মার্চ-কে স্মরণ করে আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ সমবেত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। 

রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন পাকিস্তানী শাষক গোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ-স্বাধীনতার উদাত্ত আহবান। মহা-সংগ্রামী এ নেতার নেতৃত্বে¡ আপামর জনতা সে সময় মুক্তি সংগ্রামে সংঘবদ্ধ হয়েছিল। তাই ৭ই মার্চ ১৯৭১ইং এর ভাষণপুরো বাঙ্গালী জাতি-কে স্বাধীনতার যে উদাত্ত আহবান জানিয়েছিলো - তারই ফলস্বরূপ আমাদের স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু এবং সে সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কো শুধু বঙ্গবন্ধুকেই সম্মান জানায়নি বরং বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ও প্রেরণা প্রদানকারী ভাষণ নতুন প্রজন্মের জন্য এক মাইলফলক হিসেবে সর্বদাই বিরাজমান থাকবে। আজ সারা পৃথিবীতে এ অবিস্মরণীয় ভাষণের মর্মবাণী বিভিন্ন জাতির জন্য অনুপ্রেরণা সৃষ্টি এবং গবেষণার বিষয়বস্তুুতে পরিনত হয়েছে । বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ভিয়েতনামী অনুবাদ ভিয়েতনামী জনগনের কাছে বিশেষ অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

স্বাধীন সাবভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ “সোনারবাংলা”-য় রূপান্তর করা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন। এ স্বপ্নপূরণে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের গত ১৩ বছরের অভূতপূর্ব সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবংএকটি মধ্যম আয়ের দেশে এগিয়ে যাওয়ার কথা রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে জাতির পিতার ‘সোনারবাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে সকল বাংলাদেশী একযোগে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

পরিশেষে ৭ই মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্রপ্রদর্শনী এবং আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ধন্যবাদ ও আপ্যায়নেরমাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয় ।