News update
  • Musk Launches 'America Party' in Fresh Split with Trump     |     
  • Israel to send negotiators to Gaza talks     |     
  • Bangladesh bounce back to level series as Tanvir bags five     |     
  • UN Chief Condemns Russian Attacks, Warns of Nuclear Risks     |     
  • Dhaka Urges Clear Outcome from Upcoming Rohingya Talks     |     

প্রধানমন্ত্রীর ‘আয় আয়’ ডাকে ছুটে এলো খরগোশের দল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-06-16, 7:28am

img_20240616_072917-97a283b20ab5b392bb164b8cfa5d0ecd1718501723.jpg




প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আয় আয়’ ডাক শুনেই ছুটে এলো খরগোশের দল। এ সময় তিনি খরগোশগুলোকে নিজ হাতে গাজর খাওয়ান এবং কোলে তুলে নিয়ে আদর করেন।

শনিবার (১৫ জুন) গণভবনে কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবন প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ শেষে খরগোশের ঘরের সামনে গেলে এ দৃশ্যের অবতারণা হয়।

বেলা ১২টার কিছু সময় পর গণভবনের সবুজ চত্বরে আমলকি-কালোজাম-পলাশের চারা রোপণ শেষে কিছু সময় প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের নিয়েই হাঁটেন সেখানে৷ এরই একফাঁকে তিনি ঘুরে ঘুরে দেখেন কেমন আছে তার পোষা প্রাণিগুলো।

ওই সময় সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, খরগোশের ঘরের সামনে গিয়ে, একটু ডাকতেই গাজর হাতে দাঁড়িয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রীর পায়ের কাছে এসে ভিড় করে খরগোশগুলো৷

এর আগেও, অবসরে গণভবনের লেকে বঙ্গবন্ধু কন্যার হুইল বড়শি দিয়ে মাছ ধরা কিংবা মাছের খাবার দেয়ার ছবি জনসম্মুখে এলে, সেসবও ব্যাপক সাড়া ফেলে সামাজিক পরিসরে৷

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ প্রসঙ্গে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভীষণ রকমের কৃষিপ্রেমি ও গৃহস্থ মনোভাবাপন্ন একজন মানুষ৷ শত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি গণভবনে গড়ে তোলা খামারবাড়ির খোঁজ নিতে ভুল করেন না৷ তার যত্ন-আত্তি থেকে বীজতলা থেকে ফসলের প্লট, চারা থেকে গাছ, এমনকি পোষা প্রাণি কেউ বাদ পড়ে না ৷

উল্লেখ্য, গণভবন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের পাশাপাশি খামারবাড়ি হিসেবে পরিণত হয়েছে। এ কথা সরকার প্রধান নিজেই বলে থাকেন প্রায় সময়৷তাই কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের চিরায়ত এ ঐতিহ্য তিনি সবমময় বজায় রাখতে চেয়েছেন নিজের চর্চায়৷

গণভবনে মাছ চাষ, গৃহপালিত পশু-পাখি পালন, কৃষিজ-ফলজ ও বনজ গাছ লাগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, যত্নে-স্নেহে গড়া পরিশ্রমে পাওয়া ফল যাতে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ সঞ্চার করে সেটিই তিনি করেছেন৷

এদিকে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে বৃক্ষ নিধন করে গেছেন জিয়াউর রহমান। শুধু ক্ষমতায় থাকাকালীন নয়, আন্দোলনের নামেও বৃক্ষনিধন করেছে বিএনপি-জামায়াত। অথচ জলবায়ু পরিবর্তন বা পরিবেশ রক্ষা নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা শুরু হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেসকোর্স ময়দানে ঘোড়ার দৌড় বন্ধ করে নারকেল গাছ লাগিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গণভবনের অধিকাংশ পুরানো গাছ জাতির পিতার নিজে হাতে লাগানো।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা শুনে হাসি পায়। নির্বাচনের নামে প্রহসন করে গেছেন জিয়াউর রহমান। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা শুধু মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে তা নয়। গণতান্ত্রিক ধারাও তারা নষ্ট করে গিয়েছিল। জিয়া-এরশাদ সবাই একই কাজ করেছেন। শুধু অবহেলিত ছিল কৃষকশ্রেণি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিদেশ থেকে বীজ আমদানি করতো, কেননা তাদের কয়েকজনের এটা নিয়ে ব্যবসা ছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধা দেয়া আন্তর্জাতিক সংস্থা, ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল যাতে কৃষিতে ভর্তুকি বন্ধ করে দিই। আমি বলেছিলাম, আপনারা টাকা না দিলে আমি দেশের টাকাতেই তাদের ভর্তুকি দেব। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।