News update
  • Expats must register thru mobile app to vote in BD polls     |     
  • US Faces Pressure as UN Votes on Gaza Ceasefire     |     
  • Prof Yunus includes 4 political leaders in UNGA tour del     |     
  • Tarique calls for vigilance to prevent troubles during Puja     |     
  • Parties divided on constitution order move over July Charter     |     

জনগণ সময়মত বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর আস্থা হারাবে : আইনমন্ত্রী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-05-22, 11:38am




আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, জনগণ সময়মত বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর আস্থা হারাবে। 

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইন ও বিচার বিভাগের আয়োজনে মামলাজট নিরসনে জিপি (গভর্নমেন্ট প্লিডার) ও পিপিদের (পাবলিক প্রসিকিউটর) সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শনিবার এসব কথা বলেন তিনি।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের আট বিভাগের আটজন জিপি ও আটজন পিপি মামলাজট নিরসনের বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। সভায় জিপি-পিপিগণ মামলাজট নিরসনে আদালতে সময়মত সাক্ষীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা, আরও বিচারক নিয়োগ, আদালত সংখ্যা বাড়ানো, সময়মত সমন জারি ও তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, দেওয়ানী কার্যবিধির কিছু ধারা সংশোধন, মামলার সাথে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও ডাক্তারের আদালতে সময়মত উপস্থিতি, বার ও বেঞ্চ এর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা সহ বিভিন্ন সুপারিশ করেন।

আইনমন্ত্রী তার বক্তৃতায় মামলার জট কমিয়ে আনতে বার বার সময় চেয়ে আবেদন না করতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েন। তিনি বলেন, বলা হতো- সিভিল কেস বেগুন খেতের মতো। এটা প্রচলিত ছিল। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। জনগণ সময়মত বিচার না পেলে বিচার বিভাগের ওপর আস্থা হারাবে। তিনি বলেন, সারা বিশ্বে মামলাজট এক বিরাট সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশও এই সমস্যার বাইরে নয়। মামলাজট থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেক রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেওয়ানী কার্যবিধির (সিপিসি) কিছু ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

আনিসুল হক বলেন, সিপিসি যখন তৈরি করা হয়েছিল তখন প্রযুক্তির এত উন্নয়ন হয়নি। প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এখন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় খবর পাঠাতে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড। পৃথিবী যখন এত এগিয়ে গেছে, আমার মনে হয় সিপিসির যেখানে বলা আছে অমুকটার জন্য ৪৫ দিন সময় দিতে হবে, অমুকটার জন্য ৬০ দিন সময় দিতে হবে। এত সময়ের আর প্রয়োজন নেই।  

তিনি বলেন, আদালত ও বিচারক সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এই আইনের ১৫৫(৪) ধারা বাতিল করা হচ্ছে।  এনআই অ্যাক্ট, ১৮৮১ সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) ওপর জোর দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী  বলেন, দেওয়ানী আদালতগুলোতে অনেক আপোষযোগ্য মামলা দীর্ঘদিন যাবত পড়ে রয়েছে। এই মামলাগুলো এডিআর পদ্ধতিতে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করা গেলে মামলাজট অনেক কমে আসবে। 
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রসঙ্গে আনিসুল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার কথা সংযোজন করে দিয়ে গেছেন, যেটা অনেক গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানে নেই। বঙ্গবন্ধু এটা সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে সংযোজন করে দিয়ে গেছেন। তার কন্যার সরকার এমন কোনো আইন করবে না, যাতে বাক-স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাহত হয়। আমরা সেটা করিনি।  
তিনি বলেন,  প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছে। সেসব সমস্যা হলো সাইবার ক্রাইম। আমাদের এই সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করতে হবে। অনেক অপরাধ আছে যেগুলো আর ফিজিক্যালি করা হয় না, কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়। সেটার বিচার করা হবে কীভাবে? সে জন্য তো একটা আইন করতে হবে। আমরা সে জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করার পরে কিছু মিসইউজ এবং অ্যাবিউজ যে হয়নি তা তো নয়। তিনি বলেন, আগে দেখা যেত, থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা হলেই একজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হতো। আমি সেখানেও বলেছি যাতে এই মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে যেন কাউকে গ্রেফতার না করা হয়। আদালত যদি মনে করেন এটা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ তাহলে, সে রকম ব্যবস্থা নেবে। আর যদি মনে করেন, সমন দিলেই যথেষ্ট, সমন দেবেন। তাই বলে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে ফেলতে হবে, আমি এটা সমর্থন করি না। আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা আগে দেখবেন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে কোনো একটি ঘটনায় আদৌ মামলা হয়েছে কি না। তারপর সেটা বিবেচনা করবেন। তথ্য সূত্র বাসস।