চলমান বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। এদিন জয়ের খুব কাছে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে টাইগ্রেসদের। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৩২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৩ বল এবং সমান উইকেটে হাতে থাকতেই জয়ে বন্দরে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা।
এদিন শেষ দিকে জমে ওঠা ম্যাচে বাংলাদেশ বাজে ফিল্ডিংয়ের মাশুল দিয়েছে। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে ভিন্ন কিছু হলেও হতে পারতো। ৪৮.৫ ওভারেই যেমন নাদিন ডি ক্লার্কের ক্যাচ মিস করেন স্বর্ণা। তখনও জয়ের জন্য প্রয়োজন ৯ রান। সেই ক্যাচ মিস করার পর নাদিন দি ক্লার্কই স্নায়ু ধরে রেখে এক চার ও এক ছক্কায় ৩ বল হাতে রেখে নিশ্চিত করেন জয়।
২৩৩ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে প্রোটিয়াদের ৭৮ রানে ৫ উইকেট তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকেই পরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে ফেরান মারিজান ক্যাপ (৫৬) ও ক্লোয়ে ট্রাইওন (৬২)। ক্যাপকে ফিরিয়ে ৮৫ রানের এই জুটি ভাঙেন নাহিদা। তারপরও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হতে দেননি ট্রাইওন- নাদিন ডি ক্লার্ক।
অবশ্য এ সময় বাংলাদেশের ক্যাচ মিসও তাদের সহায়তা করেছে। নাদিন ডি ক্লার্ক এসময় ট্রাইওনের সঙ্গে ৩৫ রান ও মাসাবাতা ক্লাসের সঙ্গে ৩৭* রানের অপরাজিত দুটি জুটি গড়ে বাংলাদেশের হৃদয় ভেঙেছেন। ক্লার্ক ২৯ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে দেখে শুনেই খেলতে থাকেন দুই ওপেনার ফারজানা হক ও রুবাইয়া হায়দার। রান রেট কম থাকলেও উইকেট ধরে রেখে এগিয়ে যাচ্ছিলেন দুজন। এতে ১৬তম ওভারে দলীয় ফিফটি পার করে বাংলাদেশ।
ফিফটির পরই উইকেট হারায় টাইগ্রেসরা। ৫২ বলে ২৫ রান করে ফেরেন রুবাইয়া এবং ৭৬ বলে ৩০ রান করে তাকে সঙ্গে দেন ফারজানা। তিনে ব্যাট করতে নেমে দলের হাল ধরেন শারমিন আক্তার। ৭৪ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি, আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
৪২ বলে ৩২ রান করে জ্যোতি ক্যাচ হলে, ফিফটির পর রান আউট হন শারমিনও। এরপর শোবহানা মোস্তারি (৯), রাবেয়া খান ডাক আউট হলে দলের হাল ধরেন স্বর্ণা আক্তার। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। শেষ দিকে ব্যাট চালাতে থাকেন রিতু মনিও।
শেষ পর্যন্ত রিতু মনির ৮ বলে ১৯ রান এবং স্বর্ণার ৩৫ বলের অপরাজিত ৫১ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ।