মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। সেই বৃষ্টিতে পানি জমেছে কিংস অ্যারেনার মাঠে। আর সেই কর্দমাক্ত মাঠেই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নামে বাংলাদেশ ও ভুটান। এমন কন্ডিশনে লড়াই করাটা রীতিমতো কঠিন দুই দলের জন্যই। তবুও ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে দারুণ একটা সুযোগ কাজে লাগায় বাংলাদেশ। শান্তির মার্ডির গোলে লিড নিয়ে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বৃষ্টির মধ্যেই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নামে বাংলাদেশ ও ভুটান। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা বন্ধ রয়েছে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শুরু হবে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। তবে বৃষ্টির কারণে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার মূল মাঠে খেলার অনুপযোগী হওয়ায় বাকি ৪৫ মিনিট হবে প্র্যাক্টিস গ্রাউন্ডে।
প্রথমার্ধের খেলা হয়েছে ৩ টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত। তারপর থেকে প্রায় ঘণ্টা তিনেক ধরে বন্ধ রয়েছে ম্যাচ। তবে বাংলাদেশ চায় ম্যাচটা যেন হোক। তবে ভুটানের মেয়েরা এমন মাঠে বাকি অংশের খলা খেলতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে।
ভেজা মাঠে খেলোয়াড়দের শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখাটা কঠিন। কখনো বলে শট নেওয়ার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন ফুটবলাররা, আবার কখনো শট নিলেও বল আটকে যায় পানিতে। আবার ঠিকঠাক পাসও দেওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই কোনোমতে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে দুই দল।
নেপাল ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় আজকের ম্যাচে নেই এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে ৪ গোল করা মোসাম্মত সাগরিকা। নিয়মিত অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারকেও শুরুর একাদশে রাখেননি কোচ পিটার বাটলার। তার বদলে সুরমা জান্নাত পরেছেন অধিনায়কের আর্মব্যান্ড। এ ছাড়া বেঞ্চের শক্তিটাও বাজিয়ে দেখার সুযোগ নেন বাংলাদেশ কোচ। আগের ম্যাচের একাদশের দুজনকে আজ ভুটান ম্যাচের প্রথম একাদশে রেখেছেন বাটলার।
বড় জয়েই এবারের টুর্নামেন্ট শুরু করেছে বাংলাদেশ। গত শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় ৯-১ গোলে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে হারানোয় দুই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট হলো বাংলাদেশের মেয়েদের। আজ ভুটানের বিপক্ষে জয় পেলে ৯ পয়েন্ট হবে পিটার বাটলারের শিষ্যদের।
পাঁচটি দেশ এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভারত নাম প্রত্যাহার করে নেয়। সে জন্য বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটান- এই চার দেশ নিয়ে শুরু হয়েছে সাফের এ আসর। টুর্নামেন্টের ফরম্যাটেও এসেছে পরিবর্তন।
এখন চার দল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে একে অন্যের সঙ্গে দুবার করে খেলবে। একটি দল ছয়টি করে ম্যাচ পাবে। সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দল হবে চ্যাম্পিয়ন। পয়েন্ট সমান হলে প্রথমে দেখা হবে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল, তারপর গোল ব্যবধান।