সফররত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই হতাশায় ডুবালো বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা। মাত্র ১৯১ রানেই গুটিয়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনী। দলের হয়ে একমাত্র পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসটি আসে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। বাকিরা যেন ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে।
সিলেটে রোববার (২০ এপ্রিল) সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং উপহার দিয়ে একের পর এক সাজঘরে ফিরতে থাকেন ব্যাটাররা। যেন মাঠে থাকার চেয়ে সাজঘরে ফেরার বড্ড টান তাদের।
এদিন টাইগাররা উইকেট হারিয়েছে জোড়ায় জোড়ায়। ছোটখাট একটি জুটি দাঁড় করিয়ে একজন আউট হলেই আরও এক দুইজন সাজঘরে ফেরার মিছিলে যোগ দিয়েছেন। অদ্ভূতড়ে শটে উইকেট বিসর্জন দিয়েছেন ব্যাখ্যাতীতভাবে। তাতে দলীয় স্কোর দুইশ ছোঁয়ার আগেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা।
উদ্বোধনী জুটিতে মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম ৩১ রান যোগ করার পর ১ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার বিদায় নেন। নবম ওভারে নিয়াউচি ৩১ রানের জুটি ভাঙেন। সেট হয়ে যাওয়া জয় উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩৫ বলে ১৪ রান করেন। এরপর সাদমানকেও সাজঘরের পথ দেখান নিয়াউচি। ২৩ বলে ১২ রান করে বেনেটের হাতে ক্যাচ দেন সাদমান ।
ক্রিজে এসে অভিজ্ঞ মমিনুল হকের সঙ্গে জুটি গড়ে সেই বিপর্যয় সামাল দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মধ্যাহ্ন বিরতির পর মাঠে ফিরে ভালোই খেলছিলেন। এগিয়ে যাচ্ছিলেন অর্ধশতকের পথে। কিন্তু সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। ব্লেজিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরে লাফিয়ে ওঠা বলে বাজে শট খেলে উইকেট বিসর্জন দেন শান্ত। আউট হওয়ার আগে ৬৯ বলে ৬ চারে ৪০ রান করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। দলের সংগ্রহ তখন ৯৮ রান।
এরপর ক্রিজে এসে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন অভিজ্ঞ মুশফিকও। বাঁহাতি স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার শর্ট বলে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দলীয় ১২৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় দল। মুশফিক ফিরেছেন ৪ রান করে।
তার বিদায়ের পর সাজঘরের পথ ধরেন সকাল থেকে একপ্রান্ত আগলে রাখা মমিনুল হকও। ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি করা মুমিনুল ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। ১০৫ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রান করেছেন তিনি। পরের ওভারে মুজারাবানির শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৪ বলে ১ রান করা মিরাজ।
জাকের আলী লেজের ব্যাটারদের নিয়ে কিছু রান যোগ করেন। হাসান মাহমুদ ৩০ বলে ১৯ রান করেন। নবম উইকেট হিসেবে বিদায়ের আগে জাকের ৫৯ বলে ২৮ রান করেন। তাইজুল ৩ রান করে আউট হন। শেষ ব্যাটার হিসেবে নাহিদ রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন। খালেদ ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে মুজারাবানি ও মাসাকাদজা ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। নিয়াউচি এবং মাধেভেরে বাকি ৪ উইকেট সমানভাবে ভাগ করে নেন। সময়