News update
  • Bangladesh in a Catch-22 Situation     |     
  • Global Press Freedom Index Falls to Critical Low     |     
  • Brutal aid blockade threatens mass starvation in Gaza     |     
  • Uncle, nephew picked up by BSF in Patgram     |     
  • Dhaka 3rd worst polluted city in the world Saturday morning     |     

অনশন ভাঙলেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2025-04-24, 7:31am

5t55353-ead70fedc342602e5bafe56c27c936ee1745458317.jpg




অন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল ইসলামকে (প্রো ভিসি) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু তথ্য জানানোর খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সেখানে ইউজিসির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর তানজিমউদ্দীন খান শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান।  

এর আগে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে চালু করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।  

তবে, কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এমন অবস্থার মধ্যে ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া, বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে ও আবাসিক হলগুলো ২ মে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা পরদিন ১৫ এপ্রিল দুপুরে একের পর এক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। 

সেই সঙ্গে উপাচার্যকে অপসারণের এক দফা দাবিতে কুয়েটের ৩২ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে ২২ এপ্রিল থেকে আমরণ অনশনে শুরু করেন। শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল অনশন ভাঙাতে গেলেও ব্যর্থ হন। বরং আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও ভিসির পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন। আরটিভি/