News update
  • ৬৪ লাখ টাকা খরচ করেও স্বপ্নই রয়ে গেল ইতালি     |     
  • Stock Market falls 150 points; Is Indo-Pak tension to blame     |     
  • Pakistan claims it has shot down five Indian fighter jets and a drone     |     
  • India says its strikes are of non-escalatory nature: BBC summary      |     
  • Waterways gasp for breath in Feni; 244 rivers, canals dying     |     

অবশেষে কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2025-04-24, 6:43am

img_20250424_064046-cb45fd8f13a2a5a59bc8d0a32a5d52191745455410.jpg




সারাদেশে তীব্র ছাত্র আন্দোলনের মুখে অবশেষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মোহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। একই সঙ্গে উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে সরকার।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত মধ্য রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপউপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।

এতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।

এর আগে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি আবাসিক হল। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকে আহত হন। এ ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। 

তবে, কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এমন অবস্থার মধ্যে ১৪ এপ্রিল রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা করে সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া, বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে ও আবাসিক হলগুলো ২ মে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা পরদিন ১৫ এপ্রিল দুপুরে একের পর এক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেই সঙ্গে উপাচার্যকে অপসারণের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। পরে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও আন্দোলন শুরু।আরটিভি