দীর্ঘদিন পর রাশিয়া, চীন, ভারতসহ আটটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান একমঞ্চে মিলিত হয়েছেন। উজবেকিস্তানে শুরু হওয়া আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংস্থা সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
জানা যায়, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো কোনো সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসকে এক সাথে দেখা গেছে।
উজবেকিস্তানে চলমান এসসিও সম্মেলনের সাইডলাইনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া ইরান ও উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সাথেও মোদি বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সাথে মোদির বৈঠক নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
তবে ভারত বা চীন কোনোপক্ষই সরকারিভাবে মোদি ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক নিয়ে একটি কথাও বলেনি। ইতোমধ্যেই শি জিনপিং ও পুতিনের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিন কয়েক আগেই লাদাখ থেকে ভারত ও চীন তাদের নিজ নিজ সেনাদের পেছনে সরিয়ে নিয়ে গেছে। তারপরও এই বৈঠক হবে কিনা, তা বোঝা যাচ্ছে না।
এবারের সম্মেলনে এসসিও’র চেয়ারম্যানের পদ পাচ্ছে ভারত। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার ভাষণে ভারতকে এজন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন।
জানা যায়, এসসিও সম্মেলনে মোদি-শরীফের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদপত্র ডন জানিয়েছে, বন্যার পর আবারো ভারতের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক চালু করার কথা ভাবছে দেশটি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জানিয়েছেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে মোদি ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক নিয়ে কোনো সংশয় নেই। ক্রেমলিন জানিয়েছে, দুই নেতার বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, জাতিসংঘ, জি২০ নিয়ে কথা হবে। আর আলোচনা হবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে। তথ্য সূত্র ডয়চে ভেলে বাংলা।