News update
  • Logi-boitha of 2006 was the 1st reflection of Hasina’s fascism: Rizvi     |     
  • Economists express concern over bank merger; BB remains confident     |     
  • No response on request for Hasina’s extradition: Touhid Hossain     |     
  • Deep relations with US, economic ties with China: Touhid     |     
  • Recommendations on July Charter implementation submitted to CA     |     

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্লুটোনিয়াম চুক্তি বাতিল করলেন পুতিন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2025-10-28, 7:38am

ec6c0ebdf63693f94f121d73838679f20fad9465276d96f0-1daace6f7693b9e8d85f1231a1a300911761615512.jpg




যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগে থেকেই স্থগিত থাকা প্লুটোনিয়াম নিষ্পত্তি চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) এ-সংক্রান্ত একটি আইনে স্বাক্ষর করে চুক্তিটি বাতিল করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

পুতিনের স্বাক্ষরের আগে চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ার আইন প্রণেতারা চুক্তি বাতিলের অনুমোদন দেন।

এই চুক্তি বাতিলের ঘটনা মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং ভেঙে পড়া পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ কাঠামোর ওপর আরও একটি বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

২০০০ সালে সই হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী দুদেশের নিজেদের অস্ত্রভান্ডারে থাকা উদ্বৃত্ত, উচ্চমাত্রার ৩৪ টন করে প্লুটোনিয়াম ধ্বংস করার কথা ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই দেশের মোট ৬৮ টন প্লুটোনিয়াম দিয়ে প্রায় ১৭ হাজার পারমাণবিক ওয়ারহেড তৈরি করা যেত। চুক্তির লক্ষ্য ছিল এই প্লুটোনিয়ামকে এমনভাবে প্রক্রিয়াজাত করা, যাতে তা আর সামরিক কাজে ব্যবহার করা না যায়।

রুশ কর্তৃপক্ষ মূলত ২০১৬ সাল থেকেই চুক্তিটির বাস্তবায়ন স্থগিত রেখেছিল। তবে এবার পুরোপুরি বাতিল করার পেছনে রাশিয়া বেশ কিছু কারণ তুলে ধরেছে:

মস্কোর অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক ‘শত্রুতাপূর্ণ’ পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ন্যাটোর সম্প্রসারণ ঘটিয়ে কৌশলগত স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে।

রাশিয়া দাবি করেছে, প্লুটোনিয়াম ধ্বংসের পদ্ধতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। চুক্তিতে প্লুটোনিয়ামকে মিক্সড অক্সাইড (MOX) ফুয়েলে রূপান্তরের কথা থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্র ভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করছে, যা প্লুটোনিয়ামকে সামরিক কাজে ব্যবহারের সুযোগ রাখতে পারে।

এই চুক্তি বাতিলের ফলে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, ‘নিউ স্টার্ট’ চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার ঠিক আগে এই প্লুটোনিয়াম চুক্তির সমাপ্তি দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা আবার বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে বৈশ্বিক পারমাণবিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় শূন্যতার সৃষ্টি হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।