অধিকৃত পশ্চিম তীরকে পুরোপুরিভাবে ইসরায়েলের মানচিত্রে যুক্ত করার পরিকল্পনা সামনে এনে সেই লক্ষ্যে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার ইসরায়েলকে কঠিন হুমকি দিয়েছে সৌদি আরব।
দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান স্পষ্টভাবে বলেছেন, এমন পদক্ষেপ নিলে তেল আবিবের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় আব্রাহাম চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে চরম শঙ্কা দেখা দিয়েছে। খবর জেরুজালেম পোস্টের।
হামাস উৎখাত ও জিম্মি মুক্তির নামে ২৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। পুরো বিশ্ব তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালেও নেতানিয়াহু প্রশাসনকে এ গণহত্যায় নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর পরম মিত্রের এমন সমর্থন পেয়েই যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সম্প্রতি গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনায় হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে তার সেনাবাহিনী। এমনকি অধিকৃত পশ্চিম তীর ইসরায়েলের মানচিত্রে মিশিয়ে ফেলার পরিকল্পনাও এখন প্রকাশ্যে।
নেতানিয়াহুর এসব পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে সোচ্চার বার্তা দিতে শুরু করেছে আরব দেশগুলো।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম কেএএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট ভাষায় ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেছেন, তেল আবিব যদি পশ্চিম তীর দখলের দিকে এগোয়, তবে কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
এর আগেই পশ্চিম তীর দখলকে ‘রেড লাইন’ আখ্যা দিয়ে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটি জানায়, আব্রাহাম চুক্তির মূল শর্তই ছিল পশ্চিম তীরের দখলের পাঁয়তারা থেকে ইসরায়েলের সরে যাওয়া। এ অবস্থায় দখলদার মনোভাব থেকে তেল আবিব সরে না এলে সেই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে আমিরাত ও সৌদি।
সৌদির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানায়, পশ্চিম তীর ইসরায়েলের মানচিত্রে সংযুক্তকরণের যেকোনো পদক্ষেপ শুধু আব্রাহাম চুক্তিই ভেঙে দেবে না, বরং সৌদি–ইসরায়েল স্বাভাবিক সম্পর্কের পথও চিরতরে বন্ধ করে দেবে।