News update
  • Chief Adviser Dr Yunus pays homage to martyred intellectuals     |     
  • Martyred Intellectuals Day: A Nation’s Loss and Resolve     |     
  • EC seeks enhanced security for CEC, ECs, election officials     |     
  • Humanoid robots take center stage at Silicon Valley summit, but skepticism remains     |     
  • ‘Unhealthy’ air quality was recorded in Dhaka on Sunday     |     

ট্রাম্পের দাবি মেনে প্রতিরক্ষায় ব্যয় বাড়াতে সম্মত ন্যাটো দেশগুলো

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2025-06-26, 7:51am

6b428a4adbe0ec842ca6c37b1435ab3ba19cfcf35c1eff46-c1f90dbd9051d3ea91ba9ebe9166da911750902674.jpg




ন্যাটোর প্রতিরক্ষা বাড়ানো নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এতদিন যে দাবি জানিয়ে আসছিলেন তা মেনে নিয়েছে অন্য সদস্য দেশগুলো। ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর নিজেদের জিডিপির ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষায় ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন দেশগুলোর নেতারা। বিপরীতে মিত্রদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন ট্রাম্প।

বুধবার (২৫ জুন) নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের মঞ্চে জোটের প্রতিরক্ষা ব্যয় সংক্রান্ত ঘোষণা দেন ন্যাটো নেতারা। বলেন, প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতিতে প্রতিবছর মূল প্রতিরক্ষা প্রয়োজনীয়তার জন্য জিডিপির কমপক্ষে ৩.৫ শতাংশ বিনিয়োগ থাকবে। পাশাপাশি অবকাঠামোর সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা-সংশ্লিষ্ট শিল্প খাতকে শক্তিশালী করতে আরও ১.৫ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় করা হবে।

ন্যাটো নেতারা বলেন, ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলে রাশিয়ার `দীর্ঘমেয়াদি হুমকি ও সন্ত্রাসবাদের স্থায়ী হুমকি’ মোকাবিলায় এসব বিনিয়োগ অপরিহার্য। বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের কঠোর অবস্থান ও শর্তেরই প্রতিফলন, যেখানে তিনি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন।

ন্যাটো নেতারা জোটের অনুচ্ছেদ ৫-এর প্রতি নতুন করে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘জোটের এক দেশের ওপর হামলা মানেই সব দেশের ওপর হামলা’। তবে ইউক্রেনকে সমর্থনের বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ‘অবিচল সার্বভৌম অঙ্গীকার’ পুনর্ব্যক্ত করা হলেও দেশটিকে ভবিষ্যতে ন্যাটো সদস্যপদ দেয়ার বিষয়টি এবারের ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়নি।

ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুট বলেন, ইউরোপের দেশ ও কানাডার জন্য এই অতিরিক্ত ব্যয় মেটানো সহজ হবে না। তবে এটি এখন সময়ের দাবি। তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়ার হুমকি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় আমার সহকর্মীদের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ঐক্যমত তৈরি হয়েছে- এই ব্যয় ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ নেই।’ 

কানাডা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা তাদের জিডিপির ৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে ন্যাটো প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিতে যোগ দেবে। ইতালি বলেছে, ন্যাটোর নতুন লক্ষ্য দেশের জন্য টেকসই। জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস বলেন, এই বৃদ্ধি ‘ন্যাটোর ঐক্যের লক্ষণ’।

দুই বছর আগে সদস্যপদ পাওয়া রাশিয়ার সীমান্তবর্তী দেশ ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব যাদের সদস্যপদ মাত্র বলেন, ‘আমরা নতুন এক ন্যাটোর উত্থান দেখছি। এই ন্যাটো অনেক ভারসাম্যপূর্ণ যেখানে ইউরোপের দায়িত্ব আরও বেশি।’

জোটের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে ‘রাশিয়ার হুমকি’ বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত থাকার জন্য ইউরোপ প্রতিরক্ষা খাতে আরও বেশি ব্যয় করবে। 

তার কথায়, ‘আমরা রাশিয়ার হুমকির কারণেই এই সব করছি।’ তবে তিনি এও বলেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আরও বেশি ব্যয় করতে বলা যাবে না। কারণ তারা এখন বাণিজ্য যুদ্ধের মুখোমুখি। 

সব সদস্য দেশ নতুন লক্ষ্যকে সমর্থন করলেও স্পেন জানিয়েছে, তারা ৫ শতাংশ ব্যয় করবে না। ‘অনেক কম ব্যয় করেও তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা সম্ভব’ বলে জানিয়েছে দেশটি।