News update
  • Rivers Keep Swallowing Land as Bangladesh Battles Erosion     |     
  • UN Warns Refugees Caught in Climate–Conflict Cycle     |     
  • Mohammadpur Sub-Jail in Magura lies abandoned     |     
  • BD trade unions demand 10-point climate action ahead of COP30     |     
  • Bangladesh criticises Rajnath remarks on Yunus     |     

ইরানের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা, ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের ঘোষণা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2025-02-07, 1:21pm

wrwerew-a32124e63c3171805ab0c7d29f9110131738912871.jpg




মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথমবারের মতো ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ইরানের ‘ওয়েল নেটওয়ার্কের’ বিরুদ্ধে নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। খবর আল-জাজিরার।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান, জাহাজ এবং ব্যক্তি, যারা আগে থেকেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ছিল।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইরানি সরকার তার তেল বিক্রির অর্থ দিয়ে পারমাণবিক কর্মসূচি, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের এই অনৈতিক কার্যক্রমের জন্য যেকোনো অর্থায়নের প্রচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করবে।’

তবে ইরান বরাবরই তার তেল রপ্তানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘ডাকাতি’ হিসেবে অভিহিত করে আসছে। নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় চীন, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দুই দিন আগে ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে তার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি পুনরুজ্জীবিত করতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।

২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি বাতিল করেন এবং কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এই চুক্তিটি, যা জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত, ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর অধীনে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ পেত।

জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করলেও, কূটনৈতিক আলোচনা কোনো ফল আনতে পারেনি। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হলে আলোচনা আরও থমকে যায়।

ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন ইরানের তেল রপ্তানি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়। তবে ট্রাম্প কূটনৈতিক পথ বন্ধ করে দিচ্ছেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চাই ইরান একটি সফল ও সমৃদ্ধ দেশ হোক, তবে তারা কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র পাবে না।’

ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে যে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় দেশটি ক্রমশই ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়িয়ে চলেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র ইসরায়েলের নিজস্ব পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার থাকলেও, তারা কখনোই এটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বৃহস্পতিবারের নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ধ্বংসাত্মক ও অস্থিতিশীল কার্যকলাপ সহ্য করবে না।’ তারা ইরানের তেল বিক্রিকে ‘অবৈধ’ বলে আখ্যা দিলেও, ইরান স্বাধীন দেশ হিসেবে তার নিজস্ব তেল বিক্রি করে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্র দপ্তর আরও বলেছে, ‘এই তেল বিক্রির অর্থ সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় ব্যয় করা হয়।’

ইরান ইতোমধ্যেই গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিকল্পনা ‘জাতিগত নির্মূলের’ শামিল হতে পারে।